মাগুরা ও শেরপুরে দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ২

মাগুরা সদর উপজেলা ও শেরপুরের নকলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্রীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে এই পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে। মাগুরায় আহত অন্তত ১৪ জন।

মাগুরা: গতকাল রাতে সদর উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত যানে ট্রাকের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় সমীর সাহা (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত অন্তত ১৪ জন। হতাহত ব্যক্তিরা সবাই গ্রামবাংলা নামে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত স্থানীয় একটি যানের যাত্রী।

পুলিশ ও আহত ব্যক্তিরা বলেন, মাগুরা শহরের ভায়না মোড় থেকে গ্রামবাংলা নামে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ওই যানে করে তাঁরা শালিখা উপজেলার আড়পাড়ায় যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘন কুয়াশার মধ্যে শিমুলিয়া এলাকায় গ্রামবাংলাটিকে একটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে গ্রামবাংলাটি উল্টে যাওয়ায় যাত্রীরা আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে সমীরের মৃত্যু হয়।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গ্রামবাংলা যানটি উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। ট্রাকটিকে আটক করা যায়নি। এখনো মামলা হয়নি।

শেরপুর: গতকাল রাতে নকলা উপজেলার জালালপুর এলাকার শেরপুর-ঢাকা মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আঁখি আক্তার (১০) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রী নিহত হয়েছে।

আঁখি নকলা পৌরসভার চরকৈয়া এলাকার মো. আজাদ আলীর মেয়ে। সে বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আঁখি জালালপুরে নানাবাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য মায়ের সঙ্গে রিকশায় উঠছিল। এ সময় সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এতে আঁখি সড়কে ছিটকে পড়লে মাথায় আঘাত পায়। স্থানীয় লোকজন তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মৃত ঘোষণা করেন।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান আবদুল হালিম সিদ্দিকী আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অটোরিকশাটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক।