পাওনা টাকা চাওয়ায় খামারিকে খুন?

কুপিয়ে হত্যা
কুপিয়ে হত্যা

নোয়াখালীর সেনবাগে এক খামারিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁর নাম জাহাঙ্গীর আলম (৫০)। উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের বীর নারায়ণপুর গ্রামে গতকাল শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামীণ সড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরিবারের দাবি, এক আত্মীয়ের কাছে নিহত খামারি ১০ লাখ টাকা পাওনা রয়েছেন। এই টাকা চাওয়ায় তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশও তদন্তে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ চৌধুরী।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, বীর নারায়ণপুর গ্রামের মুরগির খামারি জাহাঙ্গীর প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল ভোর সাড়ে চারটার দিকে বাড়ির পাশের খামারে খাবার দিতে ঘর থেকে বের হন। ২০-২৫ মিনিট পর তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস খামারের দিকে যান। কিন্তু তিনি তাঁকে খামারে পাননি। পরে সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের একটি সড়কের পাশে জাহাঙ্গীরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে আশপাশের লোকজন তাঁর বাড়িতে খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। সকাল আটটার দিকে থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

সেনবাগ থানার ওসি মো. হারুন অর রশিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জাহাঙ্গীরের মাথায় ও চোখের ওপর ধারালো অস্ত্রের দুটি কোপ রয়েছে। তা ছাড়া তাঁর পোলট্রি ফার্মের (খামার) পাশেই রক্তের দাগ দেখা গেছে। তাতে মনে হয় তিনি মুরগিকে খাবার দিতে আসার পর দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ অন্যত্র নিয়ে ফেলেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ওসি আরও বলেন, এলাকার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী ভোররাতে তাঁরা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জাহাঙ্গীরের বাড়ির দিক থেকে বের হতে দেখেছিলেন। এতে বোঝা যায় হত্যার পর লাশ অটোরিকশাযোগে নিয়ে দক্ষিণ মোহাম্মদপুর এলাকার সড়কের পাশে ফেলে দেওয়া হয়েছে।