শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর অর্থ আত্মসাৎ মামলা

চাকরি দেওয়ার কথা বলে এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রুহুল আমিন নামের ওই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

আজ মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে শিক্ষক রহুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রতারণার শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাসুদ উজ জামান মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারি করেছেন।

শরিফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি মামলায় উল্লেখ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিনের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্নাতকোত্তরে প্রথম বিভাগে রুহুল করায় রুহুল আমিন তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে চাকরি নিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। চাকরি দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। গত বছরের ১ জুন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই রুহুল আমিনকে ১৫ লাখ টাকা দেন। কিন্তু চাকরি দিতে ব্যর্থ হন ওই শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হলে গত বছরের ১২ অক্টোবর অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অনুকূলে (হিসাব নং ১০৭১৫) ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন রুহুল আমিন। ৩১ অক্টোবর ব্যাংকে ওই চেক নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই অ্যাকাউন্টে কোনো অর্থ না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়।

এ ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর শিক্ষক রুহুল আমিনকে আইনি নোটিশ পাঠান শরিফুল ইসলাম। এরপরও টাকা পরিশোধ না করায় আজ আদালতে মামলা করেন তিনি। আদালত রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

মামলার বিষয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ‘শরিফুল নামের যে ছাত্র অভিযোগ করছেন, তাঁকে চিনি না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে হেয় করার জন্য তিনি অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এসব কাজ করছেন। যে ব্যাংক হিসাবে চেকের কথা বলা হচ্ছে, সেটি আমার না। আমি তাঁকে কোনো চেক দিইনি। শরিফুলের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় জিডি করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি, এমনকি কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা হাকিমের কাছেও মামলা পর্যন্ত করেছি।’