কাদায় ভরা পাকা সড়ক

ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়কের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা বাজারের ছবি l প্রথম আলো
ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়কের ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা বাজারের ছবি l প্রথম আলো

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর বাজার থেকে ফুলবাড়িয়া যাওয়ার ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির ৬ কিলোমিটার পড়েছে ত্রিশালে। এই ৬ কিলোমিটারের দশা এমনই বেহাল যে স্থানীয় লোকজনের কাছে সড়কের ওই অংশ ‘ভোগান্তি’ ছাড়া আর কিছু না। অথচ মাত্র বছর দেড়েক আগেই সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন ওই সড়কটি কাগজপত্রে পাকা সড়ক হিসেবে উল্লেখিত। কিন্তু বাস্তবে সড়কটির কোনো কোনো স্থানে পিচের চিহ্ন পর্যন্ত নেই।

সরেজমিনে গতকাল বুধবার দেখা যায়, সড়কের বৈলর বাজার অংশে আনুমানিক ১৫০ মিটার এলাকাজুড়ে কাদা। সড়কের ওই অংশ পৌঁছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল আরোহীরা বিপাকে পড়ছেন। ভ্যান ও অটোরিকশা যাত্রীদের নামিয়ে যানগুলো ওই অংশ পার হচ্ছে। পরে আবার যাত্রী তুলে নিচ্ছে। সড়কের ধানীখোলা বাজার এলাকায় দেখা যায়, বড় বড় খানাখন্দে কাদা জমে আছে। বালুবাহী একটি ট্রাক গর্তে আটকে যাওয়ায় সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ। ট্রাকের চালক ও সহকারীরা ট্রাকের বালু নামিয়ে হালকা করে ট্রাকটি উদ্ধারের পর আবার ওই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।

এ সড়ক দিয়ে ত্রিশালের ধানীখোলা ইউনিয়নের ছয় গ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই, আন্ধারিয়াপাড়া ও দবরদস্তা গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ চলাচল করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধানীখোলা ইউনিয়নে সড়কটির দুই পাশে বর্তমানে কমপক্ষে মাছের ১০০টি খামার রয়েছে। ওই সব খামারে উৎপাদিত মাছ ঢাকাসহ দেশের নানা প্রান্তে যায়। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ সড়ক দিয়ে অন্তত কয়েক শ ট্রাক প্রতিদিন চলে। মাছবাহী এসব ট্রাক চলায় আনুমানিক সাত বছর ধরেই এ দশা। এলজিইডির অর্থায়নে দেড় বছর আগে সংস্কার হলেও ট্রাক থেকে পড়া মাছের পানিতে আবারও বেহাল হয়ে গেছে।

এলজিইডি জানায়, এই ধরনের গ্রামীণ সড়কে ৬ টনের বেশি ভারী যানবাহন চলা নিষেধ। অথচ এ পথে মাছবাহী ট্রাকগুলোর বেশির ভাগই ২৫ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত ভার বহন করে।

তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে গতকাল ধানীখোলা বাজার এলাকায় তিনটি মাছের খামারে গিয়েও মালিকপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

এলজিইডির ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী শাহেদ হোসেন বলেন, সড়কটি মজবুত করে নির্মাণের প্রস্তাব পাস হয়েছে। তবে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে নির্মাণকাজ কবে নাগাদ শুরু হবে তা তিনি বলতে পারেননি।