সংসদ সচিবালয়ের টাকায় বিদেশ সফরের নির্দেশনা

মন্ত্রণালয়ের টাকায় নয়, সংসদ সচিবালয়ের খরচে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের বিদেশ সফরের নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বিদেশ সফর নিয়ে এক সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আজ বুধবার স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই বিষয়টি জানানো হয়।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, গত বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কোন কোন দেশে সফর করা যায়, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা যখন বিদেশ সফরে যান, তার সঙ্গে কমিটির দু-একজন সদস্য ও কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল স্থায়ী কমিটি।

সংসদীয় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের বিষয়টি নিয়ে একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সংসদ সদস্যদের বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে সংসদ সচিবালয় হতে ব্যয়ভার বহন করা যেতে পারে।’ বৈঠক সূত্র জানায়, এমন নির্দেশনায় বৈঠকে সদস্যদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে কমিটির সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জ্ঞানার্জন ও প্রবাসীদের সেবার জন্য তাঁরা নিজের খরচেও প্রয়োজনে বিদেশ যেতে প্রস্তুত আছেন। এটা তিনি বৈঠকেও বলেছেন।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে জানানো হয় যে বহির্বিশ্বের চাহিদানুসারে দক্ষ কর্মী প্রেরণে জর্ডান, জাপান ও সৌদি আরবে প্রায় সম্পূর্ণ বিনা খরচে দক্ষ, স্বল্প দক্ষ কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে বহির্বিশ্বের কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী ১০৬টি রিক্রুটিং এজেন্সির বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় অভিবাসী আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ডের পাশাপাশি লাইসেন্স বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রবাসীদের কী পরিমাণ ইনসেনটিভ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।

কমিটি সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. শাহাব উদ্দিন, মো. ইসরাফিল আলম ও মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী অংশ নেন।