এবার হজ করতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার

এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন এবং অবশিষ্ট ১ লাখ ২০ হাজার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

আজ রোববার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে আমি দেশবাসীকে জানাতে চাই, আমরা সুন্দরভাবে ২০১৮ সালের সৌদি বাংলাদেশ হজ চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছি—আলহামদুলিল্লাহ। ১৪ জানুয়ারি পবিত্র মক্কা-আল-মোকাররমায় এই হজ চুক্তি সম্পাদিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে আমি নেতৃত্ব দিই।’
সৌদি আরবের মক্কায় এ হজ চুক্তি সম্পাদিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষ উপস্থিত ছিলেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ও সৌদি-ওমরাবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতান।
মতিউর রহমান বলেন, অন্য বছরের মতো এবারও মোট হজযাত্রীর শতকরা ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিডেট এবং ৫০ ভাগ সৌদি এয়ারলাইনস বহন করবে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকার সব ধরনের ক্রয় ও সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করেছে, যা ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে কার্যকর হয়েছে। আবাসন, খাদ্য ও পরিবহনের ওপর এর প্রভাব পড়বে। তবে রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক আরোপিত ভ্যাটের প্রভাব যাতে হজযাত্রীদের ওপর আর্থিক প্রভাব সৃষ্টি না করে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচেষ্ট থাকবে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকার নিরাপত্তার প্রশ্নে সব ধরনের শৃঙ্খলার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ বিষয়ে হজ এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজ এজেন্সিগুলোকে হজযাত্রীদের প্রতি আরও যত্নবান ও দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হজযাত্রীদের প্রতি কোনো ধরনের অবহেলা বা প্রতারণা আমরা সহ্য করা হবে না। অন্যায়কারী যে-ই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। হজ নীতিমালা, হজ প্যাকেজ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি সরকারের বিভিন্ন নির্দেশাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করে হজযাত্রীদের প্রতি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন।’
মতিউর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে গত নয়টি হজ অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৬ সাল হতে পুরোপুরি ই-হজ পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়েছে। ই-হজ পদ্ধতিতে আমরা বিগত বছর সফলতার সঙ্গে হজ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি।’