চুয়াডাঙ্গায় 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমান আলী নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে গুপ্তপীরের মাজারের পাশে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে কথিত ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত ইমান আলী চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের হারদা চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ইমান ছিলেন ডাকাত দলের আত্মস্বীকৃত নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

ইমান আলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার সকালে সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হকের ভাষ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে গুপ্তপীরের মাজারের কাছে ডাকাত দল গোপন বৈঠক করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আহসান হাবীবের নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটারগান, দুটি বন্দুকের কার্তুজ, চারটি হাতবোমা ও পাঁচটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করে এবং গুলিবিদ্ধ একজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আওলিয়ার রহমান তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ইমান আলীর বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতি ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে তিনটি মামলা রয়েছে।