আসামিরা বেশ আছেন

আবু বকর ছিদ্দিক। তাঁর মৃত্যুর খবর নিয়ে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির প্রথম আলো
আবু বকর ছিদ্দিক। তাঁর মৃত্যুর খবর নিয়ে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারির প্রথম আলো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিক হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত দশ আসামি সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। মামলার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা সাইদুজ্জামান (ফারুক) নিজেই বলেছেন, মামলার সব আসামি তাঁর সংগঠনের ছোট ভাই। সবাই এখন স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রধান আসামিসহ চারজন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। পাঁচজন কর্মরত আছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এর মধ্যে একজন সাংবাদিক, একজন শিক্ষক ও একজন আইনজীবী।
প্রধান আসামি ও স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইদুজ্জামান পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। আসামি মনসুর আহম্মেদ (রনি) বাংলাদেশ ব্যাংকে, আবু জাফর মো. সালাম রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে এবং অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত আছেন মেহেদি হাসান (লিয়ন)। এ ছাড়া মফিদুল আলম খান একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আসাদুজ্জামান ওরফে জনি শিক্ষকতা করছেন রাজধানীর একটি কলেজে। এর বাইরে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন এনামুল হক, রকিব উদ্দিন ওরফে রকিব বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন এবং তৌহিদুল খান এনজিওতে চাকরি করেন। আরেক আসামি আলম-ই-জুলহাস কী করেন তা জানা সম্ভব হয়নি।

আবু বকর ছিদ্দিক খুনে তাঁরা জড়িত নন তা আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান আসামি সাইদুজ্জামান। রায়ে খালাসপ্রাপ্ত মফিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যে উঠে এসেছে যে পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলের আঘাতে মারা গেছেন আবু বকর। তাঁদের অন্যায়ভাবে হয়রানি করার জন্য আসামি করেছিল পুলিশ।

সংঘর্ষের সময় আহত হয়েছিলেন মামলার বাদী ওমর ফারুক। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সাইদুজ্জামানসহ অন্য আসামিরা সেদিন হলের নিরীহ ছাত্রদের রড, চাপাতি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছিলেন। তাদের খালাসের খবর তাঁকে কেউ জানায়নি।