সংসদে নারী আসন ব্যবস্থা আরও ২৫ বছর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসন ব্যবস্থা আরও ২৫ বছর থাকবে। নারী আসনের জন্য এই সময় বাড়িয়ে ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন-২০১৮’—এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ সোমবার তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সংবিধান সংশোধনের এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়াও বৈঠকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’-এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হচ্ছে। তবে বিতর্কিত ওই ধারার অপরাধগুলো ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’-এর খসড়ার চারটি ধারায় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখা হয়েছে।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সভার সিদ্ধান্ত জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ১০ বছর। যা চলতি সংসদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হবে। এ জন্য এখন একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে এই মেয়াদ আরও ২৫ করা হচ্ছে। তবে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের পদ্ধতি ও সংখ্যা বিদ্যমান নিয়মেই থাকছে।

মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ খসড়ায় বলা হয়েছে, এই আইন কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইসিটি আইনের ৫৪,৫৫, ৫৬,৫৭ ও ৬৬ ধারা বিলুপ্ত হবে। আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেউ পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন অথবা যার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হয়, তাহলে এ কাজ অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধে সর্বোচ্চ ১৪ বছর ও সর্বনিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে। এই ধারাটি নিয়েই বিভিন্ন মহল থেকে তীব্র সমালোচনা আসছিল। কারণ এই ধারার কারণে সাংবাদিকসহ অনেকে হয়রানির শিকার হয়েছেন।

এখন দেখা যাচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়ায় ২৫, ২৮, ২৯ এবং ৩১ ধারায় ওই অপরাধের বিষয়গুলো ভাগ করে রাখা হয়েছে। এসব ধারায় মানহানি, মিথ্যা ও অশ্লীল, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং শত্রুতা সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি সংক্রান্ত অপরাধগুলো রয়েছে। এতে অপরাধের ধরন অনুযায়ী শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।