এক মঞ্চে সাঈদ-মুরাদ

এক মঞ্চে সাঈদ খোকন ও শাহে আলম মুরাদ। ছবি: প্রথম আলো
এক মঞ্চে সাঈদ খোকন ও শাহে আলম মুরাদ। ছবি: প্রথম আলো

অবশেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচিতে এক মঞ্চে হাজির হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন ও সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। অনুষ্ঠানে তাঁরা দুজন বলেছেন, তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা মনোমালিন্য নেই। এখন থেকে তাঁরা দলের জন্য একসঙ্গে কাজ করবেন।

সোমবার গুলিস্তানে কাজী বশীর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ সংগ্রহ এবং সদস্যপদ নবায়ন কর্মসূচিতে সাঈদ খোকন ও শাহে আলম মুরাদ এ কথা বলেন। শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

থানা ও ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটি নিয়ে দুটি পক্ষ তৈরি হয়েছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগে। সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি আঞ্চলিকতায় দুষ্ট এবং তাঁর পছন্দের লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাব কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে নিয়ে মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে মুরাদের মনোমালিন্য বা দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। তা প্রকাশ্যে আসে মগবাজার উড়ালসড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। আর সহিংস প্রকাশ ঘটে ১৬ নভেম্বরে দ্বন্দ্বের আজিমপুরে পার্ল হারবার কমিউনিটি সেন্টারের দলের সভাস্থলের সামনে ময়লা ফেলা এবং দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর মধ্য দিয়ে। সোমবার তাঁরা একসঙ্গে মিলে যাওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামো আরও জোরালো হবে মনে করেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির মেয়র ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব, সংঘাত নেই। তবে রাজনীতি কোনো ফুলের বিছানা নয়। চলার পথে মান-অভিমান হতেই পারে। দলের স্বার্থে সেগুলো ভুলে যেতে হয়। আর তা মনে রাখলে রাজনীতি করা যাবে না। তাই দীর্ঘদিন ধরে চলা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। এগুলো ভুলে আমরা দল, দেশের উন্নয়নে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’

সাঈদ খোকন বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়ন ধরে রাখতে চাইলে আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দিতে হবে। এ জন্য জনগণের সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের ভালো ব্যবহার বা আচরণ করতে হবে। থানা, ওয়ার্ড কমিটিগুলোতে ত্যাগী, পরিশ্রমী ও যোগ্য ব্যক্তিদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঢাকার স্থানীয় নেতাদের প্রাধান্য দিতে হবে।

পরে শাহে আলম মুরাদও তাঁর বক্তৃতায় দলের শৃঙ্খলা ও সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করতে সবাইকে মিলে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

এই কর্মসূচিতে সাংসদ আফজাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসনাত, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম এ হামিদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।