বাঘ রহস্য

আঁখি নামের বাঘটি ছিল কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের বাসিন্দা। তার মৃত্যু জন্ম দিয়েছে এক রহস্যের। ২৮ জানুয়ারি রাতে বাঘটি মারা গেলেও বন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানাননি। কী কারণে বাঘটি মারা গেল, তা-ও পরিষ্কার নয়। এ নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে।

২৯ জানুয়ারি আঁখির ময়নাতদন্ত হয়। প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি।

সাফারি পার্ক সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১১ জুন র‍্যাব ঢাকার শ্যামলী থেকে তিনটি বাঘশাবক উদ্ধার করে। ওই বছরের ১৩ অক্টোবর বাঘশাবকগুলোকে সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। নাম রাখা হয় জয়, জুঁই ও জ্যোতি। পরে জ্যোতিকে ঢাকার মিরপুর চিড়িয়াখানায় নেওয়া হয়।

পার্কের কর্মচারীরা বলেন, ২০১৫ সালে জয় ও জুঁই দুটি শাবকের জন্ম দেয়। এই শাবক দুটির নাম রাখা হয় নয়ন ও আঁখি। সেই থেকে সাফারি পার্কে বাঘের সংখ্যা দাঁড়ায় চারটি। ২৯ জানুয়ারি সকাল থেকে আঁখিকে দেখা যাচ্ছিল না।

গতকাল বুধবার বেলা তিনটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বাঘের বেষ্টনীর মধ্যে জয় ও জুঁই খেলা করছে। নয়ন বিশ্রাম নিচ্ছে। আঁখিকে কোথাও দেখা যায়নি।

চারটি বাঘের মধ্যে তিনটি কেন, জানতে চাইলে পার্কের কর্মচারী রাজীব বলেন, আঁখি নামের একটি বাঘ ১৩ জানুয়ারি পালিয়ে গেছে। অনেক চেষ্টা করেও বাঘটিকে খাঁচায় পোরা যায়নি।

আঁখিকে না পাওয়া নিয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কথা হয় বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এস এম গোলাম মওলার সঙ্গে। প্রথম আলোকে তিনি বাঘটির মৃত্যুর খবর জানান। বলেন, বাঘটি কী কারণে মারা গেছে এখনো জানা যায়নি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক শুভাগতসহ একদল চিকিৎসক বাঘটির ময়নাতদন্ত করেছেন। প্রতিবেদন হাতে এলে বোঝা যাবে, কেন বাঘটি মারা গেছে।

গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মোরশেদুল আলমের মুঠোফোন বন্ধ ছিল। পার্কের বনবিট কর্মকর্তা মাজাহারুল ইসলাম চৌধুরীকেও সারা দিন ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। বিকেল চারটার দিকে তিনি বাঘ আঁখির বিষয়ে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।