তত্ত্বাবধায়কে বিশ্বাস নেই এরশাদের

এইচ এম এরশাদ । ফাইল ছবি
এইচ এম এরশাদ । ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমাদের প্রতি সুবিচার করেননি। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাস করি না। সংবিধানে যা লেখা আছে নির্বাচনকালীন সরকার, সে সরকারকে বিশ্বাস করে জাতীয় পার্টি। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই। এর বাইরে নির্বাচন করতে চাই না।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় এইচ এম এরশাদ সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

সিলেটের মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছে জানিয়ে এরশাদ বলেন, এবারও হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর দোয়া নিয়ে আগামীকাল থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করব।

’৯০ প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘১৯৯০ সালে তিন জোটের রূপরেখা মেনে পদত্যাগ করেছিলাম। আশা করেছিলাম নির্বাচন করতে পারব। তখনকার সরকার বিশেষ করে সাহবুদ্দীন আহমদ আমাদের প্রতি অবিচার করে নির্বাচন করতে দেন নাই। আমাকে স্ত্রী–পুত্রসহ সব নেতৃবৃন্দকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। আমরা বন্দী অবস্থায় নির্বাচন করেছিলাম। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাস করি। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তন করা যায় না। নির্বাচন ছাড়া অন্যায়ের প্রতিবাদ করা যায় না। আমরা নির্বাচন করেছিলাম। সব সময় নির্বাচন করেছি।’

সিলেটবাসীর কাছে কৃতজ্ঞতার কথা জানিয়ে এরশাদ আরও বলেন, ‘আমি সিলেটবাসীর কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ। সেই সময় আটটি আসন দিয়ে আমাকে রক্ষা করেছিলেন। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেননি। চিরকাল চিরদিন কৃতজ্ঞ।’

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করবে কি না, জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের জোটে নেই। আমরা বিরোধী দল করি। আমাদের ৩০০ আসনের প্রার্থী রয়েছে। আগামী দিনে রাজনীতির অবস্থা দেখে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আশা করি, ভবিষ্যৎই বলে দেবে আমরা কীভাবে নির্বাচন করব।’

বিএনপি চেয়ারপারসন ৮ ফেব্রুয়ারি রায়কে কেন্দ্র করে দুটি দলের মধ্যে উত্তাপ ছাড়াচ্ছে এমন অভিযোগ এরশাদের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা রায় শোনার অপেক্ষা করছি। আমার বিরুদ্ধেও কয়েকটা রায় হয়েছে। শান্ত ছিলাম। জেলে ছিলাম, অনেক কষ্ট করেছি। আদালতের রায়কে সবার সম্মান জানানো উচিত। রায় শোনার পরে সবার শান্ত থাকা উচিত। রায়ের ওপরে কোনো কথা নেই। সবাইকে আদালতের রায় মানতে হবে। আমরাও মেনেছি।’