চালের দাম ৪০ টাকার মতো হলে সহনীয়: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম আলো ফাইল ছবি
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রথম আলো ফাইল ছবি

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘চালের দাম কেজিতে ৪০ টাকার মতো হলে সেটা আমাদের জন্য সহনীয়। আমাদের উৎপাদনকারীদের জন্যও সেটা একটা গ্রহণযোগ্য মূল্য।’ আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন চালের দাম ৪০ টাকার মধ্যে থাকবে, সেই ৪০ টাকা আমার মনে হয় থাকা উচিত। কারণ যাঁরা খাদ্য উৎপাদন করেন, তাঁদের স্বার্থও আমাদের দেখতে হয়।...৪০ টাকার মতো দাম হলে সেটা আমাদের জন্য সহনীয়। আমাদের উৎপাদনকারীদের জন্যও সেটা একটা গ্রহণযোগ্য মূল্য।’

খাদ্য নিয়ে ভাবনার কোনো কারণ নেই, সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন স্বস্তির অবস্থানে আছি। আমাদের এবারের যে সংকট, এটাকে সংকট বলা উচিত হবে না। এটা একটা সাময়িক সমস্যা এবং সেই সমস্যার সমাধান আমাদের খাদ্য মন্ত্রণালয় করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমদানি করেছে। ১২ লাখ টন খাদ্যদ্রব্য আমাদের মজুতে আছে। যেটা আমাদের দেশের জন্য যথেষ্ট।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলি, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কেউ কেউ বলে, যদি খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই হলেন, তবে কেন তিন–চার মিলিয়ন টন গম আমদানি করেন? এটা একটা অনুধাবনের বিষয়। আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা চাল রপ্তানি করতেও সক্ষম। আমরা প্রচুর ভুট্টা উৎপাদন করি। আটা হয়তো অত্যন্ত কম, মাত্র দেড় লাখ টনের বেশি আমরা গম উৎপাদন করতে পারি না। কিন্তু খাদ্যের বিভিন্ন সামগ্রী যদি আমরা গ্রহণ করি, তাহলে আমরা সত্যিকারভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাদ্য শুধু চাল নয়। চাল, গম, ভুট্টা, মাছ, সবজি, ফল...সবই খাদ্য।’

খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করার কিছু বিষয়ে আমাদের সাবধান হওয়া দরকার বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের কিছু শত্রুও আছে, যেগুলোকে যেন আমরা কোনোমতেই আমদানি না করি। মাঝেমধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী এসব করে। যেমন ব্রাজিলে একটি মাছ আছে—পিরানহা। সেটা মানুষকেও খেয়ে ফেলে। আমাদের দেশে পিরানহার মতো কামোট বলে একটা প্রাণী আছে, জলজ প্রাণী আছে। সেটা সুন্দরবন এলাকায় একসময় বেশ প্রতাপশালী হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে দুর্যোগপূর্ণ কোনো অবস্থা তারা সৃষ্টি করতে পারেনি। এ ব্যাপারে আমাদের সাবধান হতে হবে। বাইরে থেকে এ ধরনের কোনো খাদ্যের শত্রু যেন না ঢুকতে পারে। খাদ্যের আরেকটি শত্রু অবশ্যই আছে মহামারি, সেটাও অনেক সময় ছোঁয়াচে, এখান–সেখানে যায়। আমাদের সাবধানে সেটাকে প্রতিরোধ করতে হবে।’