'লুসি হল্টকে এক্ষুনি নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত'

লুসি হল্ট
লুসি হল্ট

ব্রিটিশ নাগরিক লুসি হল্ট মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবনের মায়া তুচ্ছ করে যুদ্ধাহত ব্যক্তিদের শুশ্রূষা করেছেন। ৫৭ বছর ধরে তিনি এ দেশে মানুষের সেবা করছেন। বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি, পাননি। সম্প্রতি তাঁর ভিসা ফি মওকুফ ও ১৫ বছরের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হয়েছে।

প্রথম আলোর ফেসবুকের পাঠকদের কাছে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। বেশির ভাগ পাঠকই, তাঁকে এত বছর পরও নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি-বিষয়টি জেনে অবাক হয়েছেন।

শিহাব আহমেদ লিখেছেন, ‘আগেই দেওয়া উচিত ছিল।...তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেও কেন পাবেন না এইটুকু সম্মান?’ এম. নিরব লিখেছেন, ‘নাগরিকত্ব অনেক আগেই দেওয়া উচিত ছিল। সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা। দেশে তো কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। অথচ যাঁরা খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা, নিভৃতে কাজ করে গেছেন, তাদের কোনো খোঁজ কেউ-ই নেয় না। এমন নিঃস্বার্থ, মানবসেবী মহীয়সী নারীকে শিগগিরই নাগরিকত্ব ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা দেওয়া হোক।’

ওমর ফারুক রাশেদ লিখেছেন, ‘এত বিবেচনার কী আছে? প্রথমে যখন আবেদন করেছিলেন, তখনই উনাকে (লুসি হল্ট) নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত ছিল।...এতটা বছর লুসি হল্টকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

আল-আমিন কায়সার লিখেছেন, অবশ্যই ওনাকে তা দেওয়া উচিত। যদি তা না করা হয়, তাহলে বুঝব আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি। এখনো উনাকে যে সে সম্মান দেওয়া হয়নি, এটাতেই তো অবাক হচ্ছি!

মহি উদ্দিন লিখেছেন, ‘গর্ডন গ্রিনিজ, মোহাম্মদ আলী যদি নাগরিকত্ব পেতে পারে তবে লুসি কেন নয়?’ সোমান সাকিব লিখেছেন, ‘আগে তাঁকে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান দিতে হবে। তার পাশাপাশি নাগরিকত্বের অধিকার।’
বাংলাদেশে জন্মেও অনেকের মধ্যে এ রকম দেশপ্রেম নেই—এটা জানিয়ে মো. আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, অবিলম্বে তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। এই বাংলায় জন্মে অনেকেই নিজ জন্মভূমিকে স্বীকৃতি দেয় না। সেখানে ভিন দেশের একজন বাংলাদেশের জন্মের সময় যে ভূমিকা রেখেছেন, তা অভূতপূর্ব।

মানবসেবায় এমন অবদান রাখার জন্য লুসি হল্টকে নাগরিকত্ব প্রদানের পাশাপাশি সম্মাননাও জানানা উচিত মনে করেন পলাশ জয়। তিনি লিখেছেন, ‘তাঁর যে বিশাল অবদান সেটার জন্য নাগরিকত্ব দেওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু করা উচিত যেটা সবার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’ জান্নাতুল ফেরদৌস লিখেছেন, বাংলাদেশেতো ভালো মানুষের মূল্য নেই। তাই নাগরিকত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা ওনাকে দেয়নি।