বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ

আতিকুর রহমান খান
আতিকুর রহমান খান

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলের নিজ কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের স্নাতক শেষ বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর নাম আতিকুর রহমান খান (২৪)।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলের ৩৫৭/ক নম্বর কক্ষ থেকে আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আতিকুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আতিকুর পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিনয়পুর এলাকার মোশারফ হোসেন খানের ছেলে।

আতিকুরের বন্ধু ও তাঁর হলের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার আতিকুরের বড় ভাই আশিক আরমান খান ও তাঁর স্ত্রী ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসেন। আতিকুর তাঁর ভাই ও ভাবিকে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখানোর পর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডরমিটরিতে রেখে আসেন। শনিবার বেলা ১১টার দিকে আতিকুরের ভাই বেশ কয়েকবার ফোন করেও আতিকুরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। আতিকুরের তিন রুমমেটের মধ্যে একজন শিক্ষাসফরে ও বাকি দুজন নিজেদের বাড়ি গেছেন। তাই আশিক আতিকুরের পাশের কক্ষের শিক্ষার্থী নীরবকে ফোন দিয়ে খোঁজ নিতে বলেন। নীরব প্রথমে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দেন। তিনি দেখেন আতিকুর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফাহমিদা সুলতানা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে লাশের পাশে বিলাপ করছিলেন ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা আতিকুরের ভাই-ভাবি। দুজনের কেউই এই দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বলতে পারছিলেন না। পারিবারিকভাবে কোনো ধরনের সমস্যাও ছিল না বলে জানান তাঁরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিকুর রহমান বলেন, হলের শিক্ষার্থী ও সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে জানা যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, হলে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি আত্মহত্যা কি না, তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।