তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হতে চায় নাগরিক ঐক্য

বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে পরিচিতি পেতে চায় নাগরিক ঐক্য। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য নিজেদের ওয়েবসাইট উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে জনগণের প্রতি বিকল্প একটি রাজনৈতিক শক্তির পক্ষে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।


নাগরিক ঐক্যের ওয়েবসাইটটির উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনকে ‘চরম অগণতান্ত্রিক’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বড় দুটি দলেরই সমালোচনা করে বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে দেশের বড় দুই দলসহ একটি রাজনৈতিক দলও নিয়মিত অভ্যন্তরীণ বৈঠক করেনি। যাও দু-একটি বৈঠক হয়েছে সেখানে তৃণমূল কর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল না। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি নির্দলীয় নির্বাচন, কিন্তু তাতে বড় দুই দলের ‘নির্লজ্জ দলীয় প্রভাব’ দেশের সংবিধানকেও অবমাননা করে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আপাতত শান্ত মনে হলেও, সংকট এখনো দূর হয়নি। বিএনপি আওয়ামী লীগের মধ্যে ক্ষমতাকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব এখনো শেষ হয়নি। এ অবস্থা প্রতিরোধে অনলাইন যুদ্ধের পাশাপাশি রাজপথের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বারবার ভোট দিয়ে মানুষ অবহেলিত হয়েছে। ফলাফল এবার মানুষের ভোটের দামকেই উপেক্ষিত করা হয়েছে। বরং প্রমাণ হয়েছে দুই দলের নেতৃত্বে দেশ ও দেশবাসীর জানমাল অনিরাপদ। তাই তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ জন্য গণতান্ত্রিক রাজনীতি, নতুন রাজনৈতিক শক্তি ও আস্থাভাজন নেতৃত্ব প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খানসহ অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া।