খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দিতে আদেশ

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী ডিভিশন দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত। আজ রোববার খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৫–এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের এ আদেশের পর খালেদা জিয়াকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে বলে তিনি আশা করছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়ার পর খালেদা জিয়ার ঠাঁই হয়েছে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। ওই কারাগারের সাবেক প্রশাসনিক ভবনের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়কের দপ্তরটিকে তাঁর থাকার উপযোগী করা হয়েছে। তবে ওই কক্ষে খালেদা জিয়া একা থাকছেন। তাঁর সেবার জন্য দীর্ঘদিনের গৃহকর্মী ফাতেমাকে সঙ্গে রাখার ব্যাপারে আদালতের আদেশ এখনো হাতে পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁকে সহায়তার জন্য কর্তব্যরত নারী কারারক্ষীরা প্রয়োজনে তাঁর খোঁজখবর নিচ্ছেন।

কারা সূত্র জানায়, কারাগারে খালেদা জিয়াকে কীভাবে রাখা হবে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপকারাধ্যক্ষ শিরিন সুলতানার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি নারী কারারক্ষী দল এবং উপকারাধ্যক্ষ আশরাফ উদ্দীনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের আরেকটি দল গঠন করে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা প্রশাসন ১৫ দিন ধরেই নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারের ‘ডে কেয়ার সেন্টার’ ঘষেমেজে পরিষ্কার করে। ডিভিশনের আদেশ পাওয়ার পরই তাঁকে সেখানে স্থানান্তর করা হবে। এর মধ্যে গত বুধবার কারাগারের আশপাশে নতুন করে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে কারা প্রশাসন। খালেদা জিয়া এই কারাগারের একমাত্র বন্দী

বিএনপি অভিযোগ করে বলেছে, খালেদা জিয়াকে কারাগারে সাধারণ বন্দীর মতো রাখা হয়েছে । যে খাবার দেওয়া হয়েছে, তা মুখে দেওয়ার মতো নয়। একটি পরিত্যক্ত ভাঙা বাড়িতে তাঁকে একাকী রাখা হয়েছে। সেখানে মানুষ নেই।

তবে সরকার বলছে, ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীর মতো সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে চৌকি, কম্বল, টেলিভিশন এবং পত্রিকা দেওয়া হয়েছে। শুধু বাইরে থেকে খাবার নিতে দেওয়া হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ডিভিশনের বন্দীরা যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন, তার সবই তাঁকে দেওয়া হচ্ছে। সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে তিনি এসব পান না। কিন্তু তিনি দুবারের প্রধানমন্ত্রী এবং সামাজিক মর্যাদা বিবেচনায় তাঁকে এসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে নিরাপত্তার কারণে তাঁকে বাইরের খাবার দেওয়া হচ্ছে না। কারাগারের ভেতরেই রান্না করে তাঁর জন্য খাবার দেওয়া হচ্ছে।