প্রশ্নফাঁস: হাইকোর্টের দুই কমিটি

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত ও রোধে দুটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একের পর এক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় একটি রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই কমিটি গঠন করেন। 

দুটি কমিটির মধ্যে প্রশাসনিক কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ। আর ঢাকা জেলা ও দায়রা জজের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি বিচারিক তদন্ত কমিটি। প্রত্যেক কমিটির সদস্যসংখ্যা পাঁচজন করে।

এর আগে একই বেঞ্চ প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব, আইনসচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং উইংয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যপ্রযুক্তিসচিব, বিটিআরসির সচিব-চেয়ারম্যান, বিটিসিএল প্রধান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক-চেয়ারম্যান, ঢাকা-রাজশাহী, কুমিল্লা-যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল সিলেট, দিনাজপুর উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে।

সম্প্রতি এক ব্যক্তি রিটটি করেন। রিটকারীর আইনজীবী ছিলেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিচারিক তদন্ত কমিটি প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে কারা জড়িত খুঁজে বের করবেন। আর প্রশাসনিক কমিটি প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নির্ধারণ করবেন। তিনি বলেন, দুটি কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

রুলের জবাব দুই সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব, আইনসচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং উইংয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্যপ্রযুক্তিসচিব, বিটিআরসির সচিব-চেয়ারম্যান, বিটিসিএল প্রধান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক-চেয়ারম্যান, ঢাকা-রাজশাহী, কুমিল্লা-যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল সিলেট, দিনাজপুর উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে।