প্রধানমন্ত্রীর সফরের অপেক্ষায় রাজশাহী

• প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে রাজশাহীতে নির্বাচনী আমেজ।
• নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া হচ্ছে।
• রাজশাহী মহানগরের ১৩৭টি তোরণ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের সীমানাপ্রাচীরে সুন্দর করে সাদা রং করা হয়েছে। তার ওপরে লাল-সবুজ রঙে লেখা ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আবারও আসুন নৌকায় ভোট দিই’। এই মাদ্রাসা মাঠেই কাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুধু মাঠের দেয়ালে নয়, রাজশাহী মহানগরের ১৩৭টি তোরণ আর অসংখ্য পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিন’। এ ছাড়া বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত নগরজুড়ে মাইকে মাইকে বলা হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে রাজশাহীর সর্বত্রই যেন শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী আমেজ।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরের পূর্ব দিকে পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর এলাকা, পশ্চিম দিকে কাশিয়াডাঙ্গা আর উত্তর দিকে আমচত্বর পর্যন্ত সর্বত্রই শোভা পাচ্ছে সুসজ্জিত তোরণ। চারপাশে অসংখ্য পোস্টার, ব্যানার আর বিলবোর্ড। যেখানে চোখ যাচ্ছে সেখানেই নৌকার প্রচার-প্রচারণার একটা ছবি। নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শেখেরচক এলাকায় দেখা যায়, সেখানে রীতিমতো নৌকা রাঙানোর ধুম পড়েছে। নৌকায় রং করার পরে কাঁচা রং শুকাতে রাস্তার ধারে রেখে দেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল হক নৌকা রোদে দেওয়ার কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, মোহনপুর উপজেলা থেকে তাঁরা এই নৌকা তৈরি করে এনেছেন। এখানে এনে ছই আর রং লাগানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা ১৬টি নৌকা তৈরি করেছেন। চারটি নৌকা ওয়ার্ডে থাকবে। আর ১২টি চলে যাবে জনসভার কাছে। অন্যান্য ওয়ার্ডও হয়তো নৌকা তৈরি করছে।

এদিকে কয়েক দিন ধরে নগর আওয়ামী লীগের নেতারা পাড়া–মহল্লায় গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে হাতে লিফলেট দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া হচ্ছে। গতকাল তাঁরা নগরের ১৪, ১৫ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে লিফলেট বিতরণের কাজ করেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে গতকাল বিকেলে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের শিরোইল কলোনি এলাকায় লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায়।

গত শনিবার দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান বলেন, জনসভার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। রাজশাহী মহানগরকে তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। আলোকসজ্জা করা হচ্ছে। জনসভার জন্য মাদ্রাসা ময়দানে নৌকার আদলে বিশাল আকারের মঞ্চ নির্মাণ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের জনসভার আগে প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীতে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আরও নয় দফা দাবি পেশ করা হবে।

ডাবলু সরকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহীর মানুষ প্রত্যাশায় বুক বেঁধেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমরা সব সময় রাজশাহীবাসীর পাশে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর সফরে তাঁর কাছে এসব উন্নয়ন–ভাবনা পেশ করব বলে আশা করছি।’