এখনো নিখোঁজ দুই

মারুফ জামান,ইশরাক আহম্মেদ
মারুফ জামান,ইশরাক আহম্মেদ
>
  • গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ জন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।
  • ইশরাক ও মারুফ জামান বাদে ১১ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে।

ছয় মাস হলো ইশরাক আহম্মেদের খোঁজ নেই। ছেলের সন্ধানে যখনই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জামালউদ্দীন গেছেন, তখনই তারা খুঁজে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। এখন আর সেই আশ্বাসও মিলছে না।

নিখোঁজ হওয়া আরেক ব্যক্তি সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামানের মেয়ে সামিহা জামান শুধু অপেক্ষাই করছেন। কারণ তাঁকে চুপ করে থাকতে বলা হয়েছে। মারুফ জামান নিখোঁজ গত বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে।

গতকাল মঙ্গলবার সামিহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘরে-বাইরে সবাই আমাকে চুপ করে থাকতে বলছে। তবে তারা কারা সে কথা আমি বলতে পারছি না।’

গত বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ জন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। ইশরাক ও মারুফ জামান বাদে ১১ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে।

কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইশরাক আহম্মেদ নিখোঁজ হন গত বছরের ২৬ আগস্ট। ধানমন্ডির স্টার কাবাব নামক রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ওই রাতে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন। পৌঁছতে পারেননি। গতকাল ইশরাকের বাবা মো. জামালউদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ছেলের খোঁজে তিনি পুলিশ, র‍্যাব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কানাডীয় দূতাবাসে গেছেন। কেউ কোনো হদিস দিতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘ইশরাক নিখোঁজ হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাসা থেকে ওর ল্যাপটপ নিয়ে যায়। এক দিন পর ল্যাপটপ ফিরিয়ে দেওয়ার সময় বলে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। কিছুই যদি পাওয়া না যায়, তাহলে আমার ছেলে কোথায়?’

তিন অজ্ঞাত ব্যক্তি নিখোঁজ রাষ্ট্রদূত মারুফ জামানের ডেস্কটপ কম্পিউটার বা স্মার্টফোন কোনোটাই আর ফিরিয়ে দেয়নি। গত ৪ ডিসেম্বর মারুফ ধানমন্ডি ৯/এ-এর বাসা থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে রওনা হয়েছিলেন বেলজিয়াম থেকে আসা মেয়েকে আনতে। পথিমধ্যে নিখোঁজ হওয়ার আগে বাসার ল্যান্ডফোনে গৃহপরিচারিকাকে বলেন, কয়েকজন লোক বাসায় যাবে। তাঁদের হাতে যেন ডেস্কটপ ও স্মার্টফোন দিয়ে দেওয়া হয়। মারুফ জামানের বাসা থেকে যে ভিডিও ফুটেজটি পুলিশ বিশ্লেষণ করে তাতে তিন ব্যক্তিকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। চেহারা আড়াল করতে তারা মাথার ক্যাপ টেনে দিয়েছিল।

দুটি ঘটনাই অনুসন্ধান করছে ধানমন্ডি থানার পুলিশ। থানার ওসি আবদুল লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, মারুফ জামানের বাসা থেকে তাঁরা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছিলেন। সেগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কোনো উপসংহারে পৌঁছাতে পারেননি। ইশরাক আহম্মেদ কোথায় আছেন, তা-ও তাঁরা জানতে পারেননি এখনো।