উড়োজাহাজের ইঞ্জিন চালু হতেই তরুণীর চিৎকার

যশোর বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ ইঞ্জিন উড্ডয়নের জন্য চালু করা হয়। তখন এক তরুণী যাত্রী হঠাৎ চিৎকার করে ওঠেন, ‘আমি নামব, আমাকে নামিয়ে দাও।’ তরুণীর এমন অস্বাভাবিক আচরণে বিমানের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্রুরা দরজা খুলে মেয়েটিকে নামিয়ে দেন। নেমে যান তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ।

জুনাইদ আহ্‌মেদসহ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দলের কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উড়োজাহাজটির যাত্রী ছিলেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনার জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। সভা শেষে তাঁরা ঢাকায় ফিরছিলেন।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তরুণীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার পর উড়োজাহাজটির নিরাপত্তা পুনরায় নিশ্চিত করা হয়। আধা ঘণ্টা পর উড়োজাহাজটি বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায়।

ওই তরুণীর নাম সাদিয়া সুলতানা (১৭)। তিনি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের রুহুল আমিনের মেয়ে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও উড়োজাহাজের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়নের জন্য সাড়ে সাতটার দিকে উড়োজাহাজটির ইঞ্জিন চালু করা হয়। এ সময় হঠাৎ যাত্রী সাদিয়া সুলতানা চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘আমি নামব, আমাকে নামিয়ে দাও।’

সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ওই তরুণীকে আটক করে বিমানবন্দরের একটি কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে উড়োজাহাজটিতে নতুন করে তল্লাশি করা হয়। পরে রাত আটটার দিকে উড়োজাহাজটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনছার উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, মেয়েটিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মেয়েটি জানিয়েছেন, তাঁর মায়ের উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেছে—ফোনে এমন খবর পেয়ে তিনি নেমে যাওয়ার জন্য চিৎকার করেন। তিনি বলেন, এর আগে উড়োজাহাজে চড়ার অভিজ্ঞতা ওই মেয়েটির ছিল না। এ কারণে তিনি বিমানের নিয়মকানুনও জানেন না। উড়োজাহাজটিতে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা থাকায় মেয়েটির আচরণে সবার সন্দেহ হয়। মেয়েটিকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।