ভোরে দুই জেলায় 'বন্দুকযুদ্ধ', নিহত ৩

বরগুনার পাথরঘাটায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন দুই জলদস্যু নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক ‘ডাকাত’ নিহত হয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, ডাকাতের গুলিতেই সে নিহত হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাতে এ দুটি ঘটনা ঘটে।
বরগুনায় নিহত দুজন হলেন আতাউর সরদার (২৭) ও রবিউল মালি (২৪)। আর নবীনগরে নিহত ব্যক্তির নাম জাবেদ মিয়া (৪০)।
বরগুনা: র‍্যাব-৮-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরত আলম প্রথম আলোকে বলেন, বলেশ্বর নদের মাঝেরচরে জলদস্যু ‘হাসান বাহিনীর’ সঙ্গে র‍্যাবের বন্দুকযুদ্ধ হয়। আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিট থেকে ৮টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত এই বন্দুকযুদ্ধ চলে। এতে ওই দুই ব্যক্তি নিহত হয়। এ সময় সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। হাসান বাহিনী সুন্দরবন অঞ্চলে সক্রিয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে লাশ দুটি পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব। এ সময় পুলিশ তাদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। এরপর লাশ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। এ ঘটনায় র‍্যাব পাথরঘাটা থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার হাসান শাহের মাজার এলাকা থেকে জাবেদকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে উপজেলার হাওড়াভাঙ্গা সেতু এলাকায় অস্ত্র রয়েছে বলে জাবেদ পুলিশকে জানায়। এরপর সেসব অস্ত্র উদ্ধারে দিবাগত রাত তিনটার দিকে জাবেদকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সেতু এলাকায় যান। সেখানে আগে থেকেই থাকা ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই জাবেদ মারা যান। অন্যরা পালিয়ে যায়। জাবেদ উত্তর কাউতলা ইউনিয়নের পূর্ব কাইতলা গ্রামের বাসিন্দা।

বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) অসীম বড়ুয়া (৩৮) ও মো. ইহসান (৩২), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম (২৮) এবং কনস্টেবল নাজমুল হাসান (২৭) ও মো. পারভেজ (২৬) আহত হন। তাঁরা নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত দলের সদস্যদের গুলিতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকাত জাবেদ মারা গেছেন। জাবেদ এলাকার একজন চিহ্নিত ডাকাত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, চারটি ডাকাতি, একটি অস্ত্র, একটি মাদক ও একটি চুরির মামলা রয়েছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২৮টি রাবার বুলেট ছুড়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ছয়টি গুলি এবং তিনটি রামদা উদ্ধার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।