বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানকে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

আবদুল হাই বাচ্চু। প্রথম আলো ফাইল ছবি
আবদুল হাই বাচ্চু। প্রথম আলো ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সকাল পৌনে দশটা থেকে বিকেল পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত এ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদক সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আবদুল হাই বাচ্চুকে এ নিয়ে চতুর্থ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো। এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম, ৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় এবং গত ৮ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিভিন্ন সময় ৬১টি মামলা করা হয়েছে। আর এসব মামলার বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে বাচ্চু এসবের কোনোটিতে আসামি নন বলে দুদক জানায়।

ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত মাত্র ১১ মাসে নজিরবিহীন অনিয়মের মাধ্যমে ৩ হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণের নামে বিভিন্নজনকে দিয়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন তদন্ত করে বলেছিল, ‘৪০টি দেশীয় তফসিলি ব্যাংকের কোনোটির ক্ষেত্রেই পর্ষদ কর্তৃক এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া পরিলক্ষিত হয় না। এই ঋণ আদায়ের সম্ভাবনাও কম।’

বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ২০১৫ সালের শেষ দিকে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৭ কর্মকর্তা, ১১ জরিপকারী ও ৮১ ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানসহ ১২৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছেন দুদকের ১০ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ৫৩ শতাংশ (৭ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা), যা যেকোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হারের চেয়ে বেশি।