পাইলটের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের শেষ কথোপকথন

রানওয়েতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কাঠমান্ডু, নেপাল, ১২ মার্চ। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি
রানওয়েতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। কাঠমান্ডু, নেপাল, ১২ মার্চ। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত উড়োজাহাজটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ কক্ষকে জানিয়েছিলেন কোনো সমস্যা নেই। তবে পাইলট উড়োজাহাজটিকে একটি নির্দিষ্ট দিকে অবতরণ করাতে চাইছিলেন।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক রাজ কুমার ছেত্রি বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ কথা জানিয়েছে।

রাজ কুমার ছেত্রি বলেন, বিমানবন্দরে নামার অনুমতি পাওয়ার পর উড়োজাহাজটির পাইলট বলেন, তিনি উত্তর দিকে অবতরণ করতে চান। তখন কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে জানতে চাওয়া হয়, কোনো সমস্যা আছে কি না। এর জবাবে পাইলট জানিয়েছিলেন, কোনো সমস্যা নেই। অবতরণের আগে দুবার আকাশে চক্কর দেয় উড়োজাহাজটি। আবার নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার থেকে জানতে চাওয়া হয়, সবকিছু কি ঠিক আছে? জবাবে পাইলট জানান, ঠিক আছে। এরপর অবতরণে অসংগতি দেখে নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার থেকে পাইলটকে জানিয়ে দেওয়া হয়, উড়োজাহাজটি ঠিকভাবে অবতরণ করছে না। কিন্তু এ কথার কোনো জবাব পাইলটের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। এরপর নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার থেকে পাইলটের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মহাব্যবস্থাপক রাজ কুমার ছেত্রি বলেন, অবতরণের সময় যথাযথ নির্দেশনায় থাকা উচিত ছিল উড়োজাহাজটির। কিন্তু উড়োজাহাজটি কোনো কারণে ওই নির্দেশনায় ছিল না। একপর্যায়ে উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে ও সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাইলট দুর্ঘটনার আশঙ্কা জানিয়ে নিয়ন্ত্রণকক্ষে কোনো সংকেত পাঠিয়েছিলেন কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

সোমবার ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করে। রয়টার্স জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন।