নাবিলার শিশুকন্যা এখন পুলিশের কাছে

ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কেবিন ক্রু নাবিলা ফারহিনের শিশুকন্যা ইনায়া। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কেবিন ক্রু নাবিলা ফারহিনের শিশুকন্যা ইনায়া। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের নিহত কেবিন ক্রু নাবিলা ফারহিনের (অফিসিয়াল নাম শারমিন আক্তার) আড়াই বছর বয়সী মেয়ে ইনায়া ইমাম হিয়া এখন উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশের কাছে। থানা থেকেই শিশুটিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামান আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবরের পরপরই শিশুটি হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ আসে।

গতকাল দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে চারজন ক্রুসহ ৭১ যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫০ জন নিহত হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ৪৩ জন বাংলাদেশি।

ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কেবিন ক্রু নাবিলা ফারহিন মেয়ে ইনায়ার সঙ্গে। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের কেবিন ক্রু নাবিলা ফারহিন মেয়ে ইনায়ার সঙ্গে। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আরিফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিশুটি আমাদের কাছে আছে।’

ইনায়ার চাচি ফাতেমা হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ইনায়ার বয়স আড়াই বছর। গতকাল উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবরের পরপরই ইনায়ার দাদি উত্তরায় নাবিলার বাসায় গিয়ে তা তালাবদ্ধ দেখতে পান। ইনায়ার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। আজ পুলিশ তাঁদের ইনায়ার খোঁজ দেন। তবে কোত্থেকে কীভাবে ইনায়াকে পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে তিনি জানেন না।
ফাতেমা জানান, তাঁর পরিবারের লোকজন ইনায়াকে আনার জন্য রওনা হয়েছেন। ইনায়ার চাচা বেলাল হোসেন নেপাল গিয়েছেন। ইনায়ার বাবা আনান আহমেদ দেশের বাইরে আছেন।