ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আ.লীগ, গাইবান্ধায় জাপার জয়

গাইবান্ধা সদরের ধোপাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের চিত্র। ছবি: প্রথম আলো।
গাইবান্ধা সদরের ধোপাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের চিত্র। ছবি: প্রথম আলো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। মঙ্গলবার এ দুটি আসনে উপনির্বাচন হয়।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের দ্বিতীয় দফা উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী ৭৮ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিহত সাংসদ মনজুরুল ইসলামের বড় বোন আফরুজা বারী পান ৬৮ হাজার ৯১৩ ভোট। শামীম হায়দার ১০ হাজার ১৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।

গাইবান্ধার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান মুঠোফোনে ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ৩২ হাজার ৯৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬২ হাজার ৪৫৭ জন এবং নারী এক লাখ ৭০ হাজার ৪৯২ জন। ভোট পড়ে ৪৪ দশমিক ৪০ শতাংশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন ৮২ হাজার ৯৬টি ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী রেজোওয়ান আহমেদ পান ৩৩ হাজার ৫৮৪ ভোট। অপর প্রার্থী ইসলামি ঐক্যজোটের এ কে এম আশরাফুল হক পেয়েছেন দুই হাজার ২৮৭ ভোট।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এই আসনে ভোটারের সংখ্যা দুই লাখ ১৪ হাজার ৯ জন। মোট ৭৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। ভোট পড়ে ৫৫ শতাংশ।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর গাইবান্ধা-১ আসনের সাংসদ মনজুরুল ইসলাম নিহত হন। গত বছরের ২২ মার্চ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের মনোনীত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহম্মেদ নির্বাচিত হন। তিনিও গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফা উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়। আজ এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
অপরদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের পাঁচ বারের সাংসদ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসন।