আ.লীগের একক প্রার্থী, বিএনপিতে বিদ্রোহ

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পৌরসভা নির্বাচন জমে উঠেছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী দিলেও বিএনপিতে দেখা দিয়েছে বিদ্রোহ। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।

এলেঙ্গা পৌরসভার এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। ২৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে মোট ভোটার ৩১ হাজার ১৪৫ জন। এবার নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, তিনটি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৫ জন এবং নয়টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন। আর মঙ্গলবার প্রতীক বরাদ্দের পর কাউন্সিলর প্রার্থীরাও হয়েছেন তৎপর। নির্বাচনী প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো পৌর এলাকা।

গত ২০১৩ সালে এলেঙ্গা পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী মো. শাফী খান। সেই নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন বিএনপি বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম সফিকুল ইসলাম তালুকদার। এলেঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি বর্তমান মেয়র শাফী খান এবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু গত নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম সফিকুল এবারও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। তিনি নারকেলগাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে দলের এলেঙ্গা পৌর শাখার সহসভাপতি শিল্পোদ্যোক্তা মোহাম্মদ নূর এ আলম সিদ্দিকীকে।

বিএনপির প্রার্থী শাফী খান বলেন, ‘তাঁকে কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়েছে। তাই তাঁর পেছনে দলের নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা ঐক্যবদ্ধ আছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী এস এম সফিকুল ইসলামের সঙ্গে দলীয় কোনো নেতা-কর্মী নেই। তিনি ভাসমান কিছু লোক নিয়ে নির্বাচন করছেন।’ শাফী খানের অভিযোগ, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্ষমতা খাটিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চাইছেন। প্রতিনিয়ত তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন।’

বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সফিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের সব নেতা-কর্মী তাঁর সঙ্গে আছেন। মনোনীত প্রার্থী মাঠে সুবিধা করতে পারছেন না। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বের হচ্ছেন। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে অনেক বেশি নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ নূর এ আলম সিদ্দিকী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচনে তাঁর অবস্থা খুব ভালো। তাই অপর দুই প্রার্থী তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি তারা নিচ্ছেন। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’