নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনাকে ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমি আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছি এবং তাঁদের কাছে আমাদের সমবেদনা পৌঁছে দিতে বলেছি। আমরা তাঁদের সহায়তা করার চেষ্টা করছি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আজ বুধবার সন্ধ্যায় দলের প্রেসিডিয়াম, উপদেষ্টামণ্ডলী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর এক যৌথ সভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হবে এবং দল তাঁদের কীভাবে সহায়তা করতে পারে, তার একটি উপায় খুঁজে বের করবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ, নেপাল, চীন, মালদ্বীপের নাগরিকসহ প্রায় ৫১ জন লোক নিহত হয়েছেন, যা খুবই দুঃখজনক।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা, সিলেটের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের কয়েকজন ছাত্র এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) টিমের একজন সদস্য এই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘ফোটার আগেই কয়েকটি ফুল ঝরে গেল।’
সিঙ্গাপুরে সরকারি সফর সংক্ষিপ্ত করে মঙ্গলবার দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঘটনার পরপরই সিঙ্গাপুর থেকে আমি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।’ দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ একটি চিকিৎসা দল পাঠাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া হতাহত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করতে আমরা আরও একটি টিম পাঠাচ্ছি।’ তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর নেপাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
এর আগে সরকার কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের স্মরণে বৃহস্পতিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার সারা দেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুক্রবার সারা দেশে সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।