সিরাজগঞ্জে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৩

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় জেসমিন আক্তার নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তাঁর স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার তাঁদের উপজেলার জামিরতা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁরা হলেন জেসমিনের স্বামী এনামুল হক ওরফে রাসেল (২৫) এবং তাঁর দুই বন্ধু সাইফুল ইসলাম ও মিনাজ উদ্দীন ওরফে মেনাই। পুলিশ দাবি করেছে, রাসেল দুই বন্ধুর সহায়তায় তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চার মাস আগে রাসেল শাহজাদপুর উপজেলার বারই টেপরী গ্রামের মৃত করিম প্রামাণিকের মেয়ে জেসমিনকে (২৮) বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর বনিবনা না হওয়ায় তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন।
ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি জেসমিনকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত শনিবার সকালে তিনি কৌশলে তাঁর বন্ধুদের মাধ্যমে জেসমিনকে শাহজাদপুর থেকে সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতুসংলগ্ন ইকোপার্কে বেড়াতে নিয়ে আসেন। রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে সয়দাবাদ এলাকার যমুনা নদীর তীরে জঙ্গলের মধ্যে নিয়ে দুই বন্ধুর সহায়তায় রাসেল ব্লেড দিয়ে গলা কেটে জেসমিনকে হত্যা করেন।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান শামীম ইকবাল প্রথম আলোকে জানান, শনিবার থেকে জেসমিনকে পাওয়া যাচ্ছে না এই মর্মে তার ছোট ভাই কবির হোসেন একটি ছবি দিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে সদরে উদ্ধার করা লাশের ছবির সঙ্গে জিডির ছবি মিলিয়ে জেসমিনের আত্মীয়রা লাশ শনাক্ত করেন।
পুলিশ জানায়, গত রোববার সন্ধ্যায় এলাকাবাসী নদীর তীরে লাশ পড়ে থাকতে দেখে সদর থানায় খবর পাঠান। পুলিশ রাতে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার নিহতের ছোট ভাই কবির হোসের সদর থানায় রাসেলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই দুলাল হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহূত ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে বন্ধুদের সহায়তায় রাসেল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।