নানা বাড়ি পাঠিয়েও শেষ রক্ষা হলো না

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের ছাতাগর্ত হাওর থেকে বিউটি আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার বলেছে, মেয়েটিকে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ মার্চ আদালতে মামলা করা হয়। এরপর আসামির হুমকিতে তাকে নানার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। মামলার কয়েক দিনের মাথায় লাশ হতে হলো মেয়েটিকে। 

পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ও পুলিশের ধারণা, হত্যার আগে বিউটিকে আবারও ধর্ষণ করা হয়েছে।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শায়েস্তাগঞ্জ থানার ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে গত ২১ জানুয়ারি অপহরণ ও ধর্ষণ করেন বাবুল মিয়া নামের প্রতিবেশী এক যুবক। এ ঘটনায় বিউটির বাবা সায়েদ আলী ৪ মার্চ হবিগঞ্জ আদালতে বাবুলকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন। মামলটি তদন্ত করছে শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ। মামলার পর আসামিপক্ষ পরিবারটিকে হুমকি দিচ্ছিল। যে কারণে মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৩ মার্চ বিউটিকে তার নানাবাড়ি লাখাই উপজেলার গনিপুর গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার ভোরে বিউটির নানি ফাতেমা বেগম ঘুম থেকে উঠে দেখেন ঘরে নাতনি নেই। দুপুর ১২টার দিকে লোকজনের কাছ থেকে খবর পাওয়া যায়, শায়েস্তাগঞ্জের ছাতাগর্ত হাওরে এক কিশোরীর লাশ পাওয়া গেছে। বিউটির বাবা গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সায়েদ আলী অভিযোগ করেন, ধর্ষণ মামলার আসামিই তাঁর মেয়েকে পুনরায় ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, মেয়েটির পেট ও বুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পাঁচটি ক্ষত রয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণও করা হতে পারে। ওসি আরও বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে ধর্ষণ মামলার কোনো সূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপন করায় তাঁদের কারও বক্তব্য জানা যায়নি।