মাহি 'চুপ' হয়ে গেছে

১৯ মার্চ আর্মি স্টেডিয়ামে স্বজনদের সঙ্গে বাবার লাশ নিতে আসে তানজিব বিন সুলতান মাহিও । ছবি: আবদুস সালাম
১৯ মার্চ আর্মি স্টেডিয়ামে স্বজনদের সঙ্গে বাবার লাশ নিতে আসে তানজিব বিন সুলতান মাহিও । ছবি: আবদুস সালাম

তানজিব বিন সুলতান মাহি (১৪) স্তব্ধ, নির্বিকার। ১০ দিনের মধ্যে সে বাবা ও মাকে হারাল। নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত পাইলট আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা খানম আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাবা-মাকে হারিয়ে তাঁদের একমাত্র ছেলে মাহি ‘চুপ’ হয়ে গেছে।

আফসানার ফুফাতো ভাই খন্দকার রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাহি চুপ করে আছে। কাঁদলে মন হালকা হতো।’ তিনি জানান, আবিদের মৃত্যুসংবাদ পেয়েও তাঁর স্ত্রী আফসানা কাঁদেননি। শক্ত হয়ে ছিলেন। মায়ের স্ট্রোকের সময় মাহি পাশে ছিল। এখন ছেলেকে নিয়েই তাঁদের যত চিন্তা।

আফসানা খানমের মৃতদেহ তাঁদের উত্তরার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাদ আসর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টর জামে মসজিদে আফসানা খানমের জানাজা হবে। তাঁকে স্বামীর পাশেই বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন আফসানা। ওই হাসপাতালের আইসিইউর চিকিৎসা কর্মকর্তা কাজী একরাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আবিদের স্ত্রীর অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছিল। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তিনি মারা যান।

সম্প্রতি নেপালে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটির পাইলট ছিলেন আবিদ। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী আফসানা। প্রথমে তাঁকে বলা হয় আবিদ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। পরে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে আফসানা ভেঙে পড়েন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল।

আফসানার মস্তিষ্কে দুবার রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হয়ে ছিল। প্রথমবার ছিল মৃদু, পরেরটি গুরুতর। তাঁর মাথার খুলির একটি অংশ খুলে রাখা হয়েছিল। এভাবেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল।