মুক্তিযুদ্ধে অবদানে ছয় লেখক, শিল্পী, সাংবাদিককে সম্মাননা

মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পদক পেলেন চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, শিল্পী হাশেম খান, সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম, কণ্ঠশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, কবি-সাংবাদিক হালিম আজাদ ও কথাসাহিত্যিক ইসহাক খান।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা পদক পেলেন চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, শিল্পী হাশেম খান, সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম, কণ্ঠশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, কবি-সাংবাদিক হালিম আজাদ ও কথাসাহিত্যিক ইসহাক খান।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের সঙ্গে ছিলেন লেখক-সাংবাদিক-চিত্রশিল্পী- সংগীতশিল্পীরা। তাঁরাও যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেন। এঁদের অনেকে সরাসরি হাতে অস্ত্র তুলে নেন। আবার অনেকে তাঁদের কলম, তুলি ও কণ্ঠকে করে তোলেন যুদ্ধের হাতিয়ার। এমন ছয়জন বিশেষ ব্যক্তিকে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।

তাঁরা হলেন চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, শিল্পী হাশেম খান, সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম, কণ্ঠশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, কবি-সাংবাদিক হালিম আজাদ এবং কথাসাহিত্যিক ইসহাক খান।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়। সুপার স্টোর চেইন শপ স্বপ্নের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক মালেকা খান। সভাপতি ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান।

পদক গ্রহণ করে শিল্পী হাশেম খান বলেন, বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধ ছিল না, এটা ছিল মানবমুক্তি ও সমস্ত অধিকার আদায়ের যুদ্ধ। ৪৭ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আবার কি তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি হবে? তালিকায় অনেকে টাকা দিয়ে ঢুকেছে। যার জন্ম একাত্তরে হয়নি, সেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছে। আমি বেশি কিছু আর বলতে চাই না।’

সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৪ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ট্রেনিংয়ে যাওয়ার আকুতি ছিল। সেই তারুণ্যের শক্তিই আমাদের বিজয় এনেছে। আমি মনে করি না সেই শক্তি আমরা হারিয়েছি।’

মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে—এমন মন্তব্য করে কবি হালিম আজাদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা নিয়ে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। পত্রিকায় দেখেছি, অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি, অথচ সনদ নেওয়ার জন্য তালিকায় আছে। এ ধরনের সংবাদ আমাদের মর্মাহত করে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির, মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান পর্ষদের আহ্বায়ক মারুফ রায়হান।