বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না তাঁর

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সোহেল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সোহেল সিকদার। ছবি: সংগৃহীত

সীতাকুণ্ড উপজেলার এক কন্যার সঙ্গে আংটি বদল হয়েছিল এক যুবকের। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিণতি বিয়ের দিনক্ষণ পাকাপাকি হওয়ার আগেই না–ফেরে দেশে চলে গেলেন তিনি। গতকাল সোমবার গভীর রাতে চট্টগ্রাম হাটহাজারী সড়কের অক্সিজেন বালু চড়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ওই যুবক। তাঁর নাম সোহেল সিকদার।

ওই দিন রাত দেড়টার দিকে বালু চড়া এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় সোহেল সিকদারসহ তিনজন নিহত হন। মঙ্গলবার নিহত সোহেলের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যায়। সন্তানের লাশ দেখার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মা জোহরা খাতুন। সোহেলের অকালমৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

তিন মাস আগে ওমান থেকে দেশে ফিরে বিয়ে করার জন্য কনে খুঁজতে শুরু করেন সোহেল। পছন্দের কনে খুঁজে পাওয়ার পর আংটি বদলও করা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো তাঁর। চট্টগ্রামের রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের সিকদারবাড়ির আবু আহম্মদ সিকদারের বড় ছেলে নিয়াজ আহমেদ সোহেল সিকদার।

নিহত সোহেলের চাচা শাহ আলম সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ২৬ মার্চ সোমবার রাতে হাটহাজারী উপজেলার মীরেরখীল একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে বাসায় ফেরার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে সোহেল, তাঁর আত্মীয় ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আকবর চৌধুরী বাড়ির হায়দার চৌধুরী রাকিব (১৮) ও একই ইউনিয়নের হাবিলাশ তালুকদার বাড়ির জাসেদ (২৮) নিহত হন।

মঙ্গলবার দুপুরে সোহেলের লাশ বাড়িতে আনা হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্বজনেরা। বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। বায়োজিদ বোস্তামি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ওই সড়ক দুর্ঘটনায় সোহেলসহ তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।