পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে আসামি 'হাওয়া'

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে মাদক মামলার এক আসামি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ পাহারায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আসামি তন্ময় মণ্ডল (২০) পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

পুলিশ পাহারায় আসামি পালানোর ঘটনায় দায়িত্বে পালনে অবহেলার অভিযোগে পুলিশের দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন চিতলমারী থানার কনস্টেবল আবদুর রউফ ও শওকত আলী। শুক্রবার তাঁদের জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তন্ময় চিতলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের খড়মখালী গ্রামের প্রয়াত বলরাম মণ্ডলের ছেলে।

চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকুল চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ২ এপ্রিল রাতে চিতলমারী উপজেলার খাসেরহাট এলাকায় পুলিশ অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশ দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তন্ময় মণ্ডল নামের এক যুবককে আটক করা হয়। পুলিশের ধাওয়ায় তন্ময় রাস্তার ওপর পড়ে কোমরে আঘাত পান। পরে তাঁর দেহ তল্লাশি করে ১০ পিস ইয়াবা বড়ি ও ৫০ গ্রাম গাঁজা পায় পুলিশ। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) মারফত আলী বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন। তন্ময়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তন্ময়ের বাথরুম চাপলে পুলিশ তাঁর হাতকড়া খুলে দেয়। এ সময় সে বিছানা থেকে নেমেই পাহারায় থাকা পুলিশের সদস্য শওকত আলী ও আবদুর রউফকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে চিতলমারী থানায় মাদক ছাড়াও তিনটি চুরির মামলা আছে।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় আজ সকালে জানান, দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে চিতলমারী থানার কনস্টেবল আবদুর রউফ ও শওকত আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া তন্ময় মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।