সিটি নির্বাচনে সেনা নয় বিজিবি থাকবে

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তবে নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন থাকবে।

আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিস কার্যালয় পরিদর্শনে এসে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলাল উদ্দিন এসব কথা বলেন। এ সময় গাজীপুর সিটি নির্বাচনের  রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডল, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তারিফুজ্জামান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আসলাম উপস্থিত ছিলেন।

কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলার পুলিশ সুপার ও আইজিপিকে অনুরোধ করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, দাগি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিজিবি মোতায়েন থাকবে। তবে এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই।

সচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন  কিছু ক্ষেত্রে ইভিএম  যন্ত্র ব্যবহার করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এর পাশাপাশি কিছু কেন্দ্রে সিসি-ক্যামেরা থাকবে। যাতে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে নির্বাচনের তৎপরতাগুলো আমরা দেখতে পারি। ইভিএম কতগুলো কেন্দ্রে করা হবে, এখনো সে সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘যে সমস্ত সম্ভাব্য প্রার্থীরা শোভাযাত্রা করছে এবং নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে, তাদের আমরা সতর্ক করে দেব। আমাদের ১৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে আছে, তারা যদি কারও বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার সংবাদ পায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলি না। এখন আমরা গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বলে থাকি। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর তালিকা এখনো হয়নি। গোয়েন্দা সংস্থা একটা তালিকা প্রণয়ন করবে। নির্বাচনের আগেই আমরা এর তালিকা করে ফেলব। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বেশিসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে পুলিশ সুপারসহ আমাদের আইজিপি মহোদয়কে অনুরোধ করেছি, যাতে কোনো ধরনের অপতৎপরতা কেউ চালাতে না পারে। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র, দাগি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছি। শিগগিরই আমরা ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একটি সভা করব। এর পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময় প্রতি সপ্তাহে গাজীপুরে নির্বাচনী সভা থাকবে।’