র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ধর্ষণের আসামি নিহত
যশোরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আল আমিন ওরফে বাবু (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার মধ্যরাতে যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুকে গুলিবিদ্ধ লাশটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রেখে আসে র্যাবের একটি দল।
নিহত আল আমিন ইমারত নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও একটি ছেলে রয়েছে।
আল আমিনের বিরুদ্ধে আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে।
র্যাব-৬ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা জানতে পারেন, খোলাডাঙ্গা এলাকায় সন্ত্রাসীদের একটি দল অস্ত্র-গুলি নিয়ে অবস্থান করছে। রাত তিনটার র্যাবের একটি দল সেখানে গিয়ে অভিযান চালায়। র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ একজনের লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র্যাব-৬-এর অধিনায়ক (পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি) খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আল আমিন ছয় বছর বয়সী আপন ভাতিজিকে দাওয়াত খাওয়ানোর কথা বলে একটি মেহগনিবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শিশুটির মা আল আমিনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণের একটি মামলা করেন। এরপর থেকে আল আমিন নিখোঁজ ছিল। আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি যে আল আমিনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী খোলাডাঙ্গা এলাকায় জড়ো হয়েছে। তখন র্যাবের একটি দল অভিযানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে আল আমিন নিহত হয়।’ তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে গুলিভর্তি একটি দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে মর্গের সামনে গিয়ে নিহত আল আমিনের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়। এ সময় আল আমিনের খালাতো ভাই রনি হোসেন বলেন, ‘ছয় দিন ধরে আল আমিন নিখোঁজ ছিল। সকালে আমরা জানতে পারি, খোলাডাঙ্গা এলাকায় একটি মাঠে তাঁর লাশ পড়ে আছে। র্যাব লাশটি উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে গেছে।’