হত্যার পর লাশ নিয়ে পালানোর সময় আটক

ঠাকুরগাঁও শহরের নিশ্চিন্তপুর শাহাপাড়া এলাকার এক গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহাপাড়া এলাকার চাল ব্যবসায়ী খোকা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সুমনের সঙ্গে তিন বছর আগে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কালিয়াপাড়া গ্রামের বকুল শেখের মেয়ে পলি বেগমের বিয়ে হয়।
বুধবার দিবাগত রাতে সুমন দেরি করে বাড়ি ফিরে ঘুমাতে যান। পরে দেড় বছরের ছেলের কান্নাকাটি ও কাশির শব্দে সুমনের ঘুম ভেঙে যায়। এ ঘটনা নিয়ে পলির সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে পলিকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন সুমন।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সুমনের শাহাপাড়ার বাড়িতে গিয়ে জানতে পারে বাড়ির লোকজন পলির লাশ একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে গেছে। পরে পুলিশ সকাল নয়টার দিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কবিরাজহাট এলাকা থেকে সুমনের বাবা খোকা মিয়াসহ লাশবাহী মাইক্রোবাসটি আটক করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সময় পাশের ঘরে থাকা পলির বড় বোন রুমা বেগম বলেন, ভোররাত সাড়ে তিনটা-চারটার দিকে পলির চিৎকার শুনে তাঁর ঘুম ভেঙে যায়। তাঁদের ঘরের দরজায় আঘাত করলে সুমন দরজা খুলে দেন। সে সময় পলির নিস্তেজ দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। সকালে বাড়ির লোকজন তাঁকেসহ পলির লাশটি একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে দেয়।
এ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ খান জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। পুলিশ নিহতের ঘর থেকে একটি রক্তমাখা বালিশের কভার, বিছানার চাদরসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। তবে অভিযুক্ত সুমন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।