প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন, ব্ল্যাকবক্স গেল কানাডায়

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নেপালের তদন্ত কমিশন প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বিধ্বস্ত হওয়ার আগ মুহূর্তের পাইলট ও এটিসির (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল) মধ্যকার কথোপকথনকে অস্পষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার কারণ উল্লেখ না করে পাঁচ পৃষ্ঠার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ব্ল্যাকবক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সরঞ্জাম বিচার বিশ্লেষণের জন্য কানাডার ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজ ও টাওয়ার কন্ট্রোলের মধ্যকার যোগাযোগ একটা সময় পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু পরে উভয় পক্ষের খুবই সামান্য যে কথোপকথন শোনা যাচ্ছে তা অস্পষ্ট। এতে নিশ্চিত করা হয়েছে, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বেড়ার কিছুটা বাইরে দুই নম্বর রানওয়ের পূর্বাংশে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। ওই দিনই উড়োজাহাজটি ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে নেপালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এতে নিহত ৫০ জনের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও একজন চীনের নাগরিক।

দুর্ঘটনার পর পরই তদন্তের জন্য নেপাল কর্তৃপক্ষ ‘এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন, ২০১৮’ নামে তদন্ত কমিশন গঠন করে। কমিশন ৯ এপ্রিল রিপোর্ট প্রকাশ করে। বুধবার সিভিল অ্যাভিয়েশন অথোরিটি অব বাংলাদেশের (সিএএবি) কাছে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে, ট্যাক্সিওয়ে এবং অবতরণক্ষেত্র ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটির কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত ছিল। এ ছাড়া ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে অগ্নিনির্বাপক ও জরুরি সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান, বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে পাওয়া সব ডকুমেন্ট বিচার বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং সেসব চূড়ান্ত প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।