মশা নিয়ন্ত্রণে অন্য সংস্থাকে পাশে পায় না ডিএনসিসি

মশক নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসন, ওয়াসা, রাজউক, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ কয়েকটি সংস্থাকে একাধিক চিঠি দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সমন্বয় সভাও করা হয়েছে। কিন্তু ওই সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুত সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়রসহ ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার মেরুল বাড্ডায় নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আলোচনায় উঠে আসে প্রসঙ্গটি। ফোরামের প্রকাশনা ‘ঢাকাই’-এর দ্বিতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণি বলেন, ‘আমরা ক্রমাগত চিঠিপত্র দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ওয়াসার আওতাধীন খালগুলো পরিষ্কারে কোনো উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছি না। এ কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা যেমন বাড়ছে তেমনি মশার উৎপাদনও বাড়ছে।’
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, ‘মশার বিরুদ্ধে আমরা যথেষ্ট কাজ করছি। কিন্তু এটি ফলদায়ক হচ্ছে না। সম্মিলিতভাবে কাজ করা না গেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এর আওতাভুক্ত এলাকায় বিভিন্ন ধরনের জলাশয়ের পরিমাণ ২ হাজার ১০০ বিঘার বেশি। কিন্তু এর পুরোটা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। রাজউক, গণপূর্ত অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে যে উন্মুক্ত জলাশয়, লেক ও পুকুরগুলো আছে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এর প্রতিটি একেকটি মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
জলাশয় পরিষ্কারে সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য ডিএনসিসি থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি সংস্থাকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি। সমন্বয় সভাও করা হয়েছে। কিন্তু তাদের কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা এখন পর্যন্ত পাইনি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পাল। ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মতিন আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিন্নাত আলী, জাকির হোসেন, মফিজ আহমেদ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এম এ রাজ্জাক।