জাল সেনজেন ভিসার কারবারি

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে জাল সেনজেন ভিসা তৈরির বিপুল সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ডিএমপি কার্যালয়, মিন্টো রোড, ঢাকা, ১৭ এপ্রিল। ছবি: ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে জাল সেনজেন ভিসা তৈরির বিপুল সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। ডিএমপি কার্যালয়, মিন্টো রোড, ঢাকা, ১৭ এপ্রিল। ছবি: ডিএমপি

ইউরোপের সেনজেন ভিসা দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো। ওই ভিসা করার জন্য দফায় দফায় প্রয়োজনীয় কাগজ নেওয়া হতো গ্রাহকের কাছ থেকে। ভিসা দেওয়ার পর গ্রাহকের কাছে ভিসার জন্য নেওয়া হতো মোটা অঙ্কের টাকা। ভিসা দিয়ে ভ্রমণের দিন ও ফ্লাইট নম্বর জানানো হতো। কিন্তু যখন ভ্রমণের তারিখ আসত, তখন তাকে ফোন করে বলা হতো, তাঁর ভ্রমণের তারিখ বদলেছে। কিন্তু সেই বদলি তারিখ কবে, তা আর জানানো হতো না। এভাবেই গ্রাহককে জাল ভিসা দিয়ে প্রতারণা করত চক্রটি। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে জাল সেনজেন ভিসা তৈরির বিপুল সরঞ্জামসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরা থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জিয়াউল হক ওরফে জুয়েল, মো. জাকারিয়া মাহামুদ, মো. মাহবুবুর রহমান ও মো. মামুন হোসেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে গ্রেপ্তার চারজনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এতে জাল চক্রটি সম্পর্কে এ কথা বলেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন।

গ্রেপ্তার হওয়া চারজনের কাছে থেকে ১৪টি জাল সেনজেন ভিসাযুক্ত বাংলাদেশি পাসপোর্ট, ব্যাংকের জাল হিসাব বিবরণী এবং ভিসা প্রস্তুতের বিপুল পরিমাণ স্টিকার পেপার, সাইপ্রাসে পাঠানোর জন্য জাল আমন্ত্রণপত্র, ব্যাংক গ্যারান্টি, জাল নথি প্রস্তুতের জন্য কম্পিউটার, মনিটর, স্ক্যানার ও প্রিন্টারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে সেনজেনভুক্ত দেশগুলোতে ও সাইপ্রাসে জাল ভিসার মাধ্যমে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।