ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তার ৬৮ বছর কারাদণ্ড

দুর্নীতির পৃথক চারটি মামলায় ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের সাবেক পাঁচ কর্মকর্তার প্রত্যেককে ৬৮ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর দুই ব্যবসায়ীকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই পাঁচ কর্মকর্তার প্রত্যেককে ১ কোটি ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ –এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।

পাঁচ কর্মকর্তাসহ দণ্ডিত সাতজন হলেন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. হারুন, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম মাহমুদুল্লাহ, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ইভিপি) কামরুল ইসলাম, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) ফজলুর রহমান, নূর অ্যান্ড সন্সের মালিক তরিকুল ইসলাম ও মেসার্স আফাজউদ্দিন ট্রেডার্সের মালিক সালাহউদ্দিন। তবে দণ্ডিত আসামি সবাই পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া মামলা থেকে ব্যাংকটির সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমামুল হক খালাস পেয়েছেন।

২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক সৈয়দ আহমেদ মতিঝিল থানায় মামলা করেন। সেখানে বলা হয়, পরস্পরের যোগসাজশে আসামিরা জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান তৈরি করে এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

এই মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মেসার্স আফাজউদ্দিন ট্রেডার্সের নামে যে হিসাব খোলা হয়, তা শনাক্তকারী আলম ট্রেডার্সের মালিক আলমকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তদন্তে জানা যায়, ওই ব্যাংকের কর্মকর্তা শাহ মো. হারুনের নির্দেশই হিসাব খোলা হয়েছে। তাঁর নির্দেশেই ব্যাংকটির কর্মচারী-কর্মকর্তারা হিসাব খোলার ফরমে স্বাক্ষর করেন। আসামি শাহ মো. হারুন ক্ষমতার অপব্যবহার করেই প্রতারণার আশ্রয় নেন। তিনি সালাউদ্দিনের মালিকানাধীন মেসার্স আফাজউদ্দিন ট্রেডার্সের নামে ভুয়া শনাক্তকারী দিয়ে হিসাব খোলান এবং এভাবেই আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।