আন্দোলনে উসকানিদাতা তারেক: হানিফ

মাহবুব উল আলম হানিফ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মাহবুব উল আলম হানিফ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে টেলিফোন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উসকানি দিয়ে গণ-আন্দোলনে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে সে চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে।’ আজ মঙ্গলবার মেহেরপুরের মুজিবনগরে ঐতিহাসিক ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও মুজিবনগর দিবস পালন করে না বিএনপি। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। তাঁরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হতে পারে না। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে চলেছে, আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু পরাজিত শক্তি তা মেনে নিতে পারছে না। বিএনপির কাছে দেশের মানমর্যাদা বলে কিছু নেই। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে সাজা হয়েছে। তাঁদের কাছে মর্যাদা-আত্মমর্যাদা বলে কিছু থাকে না।’

জনসভায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে দেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে না পারলে স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে। অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের পরাজিত শক্তি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে আবার পাকিস্তানের ভাবধারা সৃষ্টি করেছিল। অনেক নির্যাতন করেছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপরে। পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হয়। কিন্তু পরাজিত শক্তি তাঁকে বেশ কয়েকবার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না। বিএনপি নেত্রী আইনি প্রক্রিয়ায় বেরিয়ে আসুক। সমানে সমানে নির্বাচনে খেলা হবে। যাকে জনগণ বেছে নেবে, সে-ই দেশ পরিচালনা করবে।’ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে, জার্মানিতে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে নির্বাচন হবে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিবনগর আরও উন্নয়নে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হবে। যাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হবে, জমি অধিগ্রহণকালে যে রকম স্থাপনা থাকবে, প্রত্যেককে ঠিক তেমন স্থাপনা বানিয়ে দেওয়া হবে। কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না।

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনের সাংসদ মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, সাবেক সাংসদ জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।