ফেনীতে মধ্যরাতে রেললাইনের পাশেই পড়ে ছিল নবজাতক

রেললাইনের পাশে বাঁশঝাড়ের নিচে পাওয়া যায় সদ্যোজাত এই শিশুকে। ছবি: ফোকাস বাংলা
রেললাইনের পাশে বাঁশঝাড়ের নিচে পাওয়া যায় সদ্যোজাত এই শিশুকে। ছবি: ফোকাস বাংলা

মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে একটি শিশুর কান্নায় হঠাৎ জেগে ওঠেন ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দারা। কান্নার উৎস খুঁজতে খুঁজতে ফেনী-বিলোনিয়া রেললাইনের পাশে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে পাওয়া যায় সদ্যোজাত এক শিশুকে। আশপাশে কেউ নেই। শিশুটিকে উদ্ধার করে রাতেই ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এলাকাবাসী। গতকাল রোববার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজনের ধারণা, রাতের আঁধারে শিশুটিকে কেউ বাঁশঝাড়ের নিচে ওই স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।

ফেনী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফুর রহমান চৌধুরী জানান, নবজাতক শিশুটি মেয়ে। তার বয়স ১৩ থেকে ১৪ দিন হতে পারে। স্থানীয় লোকজন শিশুটিকে নিয়ে আসার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। তিনি জানান, কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি ফেনী থানার পুলিশ ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়ায় শিশুটিকে কারও হাতে তুলে দেওয়া হবে।

‘ইউ ক্যান চেঞ্জ ইওর সোসাইটি’র ফেনীর কর্মকর্তা মঞ্জিলা মিমি বলেন, শিশুটি হাসপাতালে থাকাকালে তিনি দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছেন। শিশুটির নাম দিয়েছেন রুবাইদা হাসনা।

ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদ খান চৌধুরী জানান, হাসপাতালের অজ্ঞাতপরিচয় শিশু ভর্তির বিষয়টি শুনেছেন। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া শিশুটিকে অন্য কারও হাতে তুলে দেওয়া যাবে না।

খবর শুনে ফেনীর সিভিল সার্জন হাসান শাহরিয়ার কবীর আজ সোমবার সকালে শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। শিশুটির সুচিকিৎসার জন্য তিনি সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।