আদিবাসীদের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বাবুপুর গ্রামের পাশে খাসজমিতে গড়ে তোলা আদিবাসী পল্লিতে গত সোমবার দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে ষ ছবি: প্রথম আলো
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বাবুপুর গ্রামের পাশে খাসজমিতে গড়ে তোলা আদিবাসী পল্লিতে গত সোমবার দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে ষ ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার তিলনা ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের আদিবাসী পল্লিতে হামলা হয়েছে। এ সময় আটটি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। পূর্ববিরোধের জের ধরে গত সোমবার ভোরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বাবুপুর গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে বিদ্যুৎ শাহরিয়া ও জব্বারের ছেলে মেহের আলী। বিকেলে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাবুপুর মৌজায় আট একর খাসজমির ওপর আদিবাসীরা দীর্ঘদিন ধরে টিনের ছাউনি ও বাঁশের বেড়া দিয়ে ১০-১২টি ঘর তৈরি করে বসবাস করছিলেন। গ্রামের আবদুল গফুর ওই জমিকে নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে গফুরের সঙ্গে আদিবাসীদের বিরোধ শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে আদালতে দুটি মামলা চলছে। এ অবস্থায় সোমবার ভোরে ওই জমি থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করতে আবদুল গফুরের ছেলে সারোয়ার (৪২), বিদ্যুৎ (৩৫), সুফিয়ান (৫০) ও রকেট (৪০) এবং মৃত জব্বারের ছেলে মেহের আলীসহ (৫৫) ৩০-৩৫ জন দুর্বৃত্ত পল্লিতে হামলা চালায়। এ সময় আদিবাসী পরিমল, সাবিনা এতোয়াসহ বেশ কয়েকজনকে বেঁধে আটটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আবদুল গফুর ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘তারাই আমাকে হেয় করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’ সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আদিবাসীদের পক্ষে মহিন্দ্রনাথ বাদী হয়ে ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। বিদ্যুৎ ও মেহের আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।