টেকনাফে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ নিহত ১, দগ্ধ ৭

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিনটি বসত ঘর। এতে এক বৃদ্ধা মারা যাওয়ার পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন সাতজন। কানজরপাড়া গ্রাম, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, টেকনাফ, ৯ মে। ছবি: প্রথম আলো
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তিনটি বসত ঘর। এতে এক বৃদ্ধা মারা যাওয়ার পাশাপাশি অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন সাতজন। কানজরপাড়া গ্রাম, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, টেকনাফ, ৯ মে। ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একজন নিহত ও সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক শিশুর অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। এ সময় অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বসতঘরও পুড়ে যায়।

বুধবার সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কানজরপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা উখিয়া ও কক্সবাজারের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে কানজরপাড়া গ্রামে আবদুস শুক্কুরের বাড়িতে রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে প্রথমে খাইরুল বশর ও বদিউজ্জামানের টিনশেড ঘরে আগুন লেগে যায়। আগুন মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে ঘুমিয়ে থাকা আবদুস শুক্কুরের শাশুড়ি এলেনা খাতুন (৯০) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। দগ্ধ হন খাইরুল বশর (৩৫), বদিউজ্জামান (৩০), ফাতেমা খাতুন (২৭), বুসরা আক্তার (১২), সুমাইয়া আক্তার (১০), রুনা আক্তার (৩) ও রুমা আক্তার (৪)। এঁদের মধ্যে রুমা আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এর আগে তার মৃত্যুর কথা চাউর হলেও নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আগুনে তিনটি ঘর পুড়ে গেছে। আগুনে ঘর তিনটির আসবাবসহ সব মালামাল পুড়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, এতে তাঁদের প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা কৃতি রঞ্জন বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত্র হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত সাতজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান বলেন, নিহত ব্যক্তির দাফনের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।