গাজীপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্ত করবে ডিবি

পুলিশের জব্দ করা গাড়িটি অক্ষত পড়ে আছে টঙ্গী থানায়। ৮ মে বিকেলে। ছবি: প্রথম আলো
পুলিশের জব্দ করা গাড়িটি অক্ষত পড়ে আছে টঙ্গী থানায়। ৮ মে বিকেলে। ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরের টঙ্গী থানা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্ত করবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল বুধবার মামলাটি তদন্তের জন্য থানা থেকে জেলা ডিবিতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় গতকাল নতুন করে আর কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

পুলিশের করা কথিত ঘটনার মামলার আলামত হিসেবে দেখানো ‘ভাঙচুর’ হওয়া অক্ষত লেগুনাটি এর মালিক বুঝে পাননি। লেগুনার মালিক গাজীপুরের কামারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আলামিন বলেন, এই গাড়ির আয় দিয়েই তাঁর সংসার চলে। কিন্তু লেগুনাটি আটকে থাকায় বিপদে পড়েছেন তিনি।

গত রোববার আদালতের নির্দেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত হওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান সরকারের বাড়ির আশপাশে অভিযান চালিয়ে ১৩ জনকে আটক করে। ছয় ঘণ্টা পর আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শুধু বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে ছেড়ে দেয়। বাকি ১২ জনসহ ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে পরদিন ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে টঙ্গী থানায় মামলা করে পুলিশ। এজাহারে অজ্ঞাতনামা আসামি আছে আরও এক শ থেকে দেড় শ জন। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ৪৮ জনই বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে আছেন।

আলামত হিসেবে দেখানো লেগুনা (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৬০৮০) গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে নেতা-কর্মীরা আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন বলে পুলিশ এজাহারে দাবি করেছে। তবে গত মঙ্গলবার বিকেল চারটায় জব্দ করা গাড়িটি অক্ষত অবস্থায় থানায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তাতে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগেরও কোনো আলামত দেখা যায়নি।

এ নিয়ে গতকাল প্রথম আলোয় ‘“ভাঙচুর” হওয়া গাড়ি অক্ষত, আসামি ১০৩’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ডেরিক স্টিফেন কুইয়াকে। তিনি বলেন, জব্দ করা লেগুনাটি আদালতের মাধ্যমে এর মালিক নিয়ে যেতে পারবেন। এতে কোনো বাধা নেই।