মানবতাবিরোধী অপরাধে রিয়াজ উদ্দিনের মৃত্যুদণ্ড

মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় হত্যা, ধর্ষণ, গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তৎকালীন আলবদর কমান্ডার রিয়াজ উদ্দিন ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। এটি মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারে গঠিত ট্রাইব্যুনালের ৩২তম রায়।

রায়ে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষের আনা চার অভিযোগের সব কটিই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে আসামি ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুটি অভিযোগে তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল। ৬৯ বছর বয়সী আসামি রিয়াজ উদ্দিন ফকিরকে আজ রায়ের সময় কাঠগড়ায় হাজির করা হয়।

এ মামলায় প্রাথমিকভাবে তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলেও অভিযোগ গঠনের আগে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি আমজাদ আলী কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেলে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়। আরেক আসামি ওয়াজ উদ্দিন মারা যান পলাতক অবস্থায়। অভিযোগ গঠনের পর তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি জানানো হলে তাঁর নামও বাদ দেওয়া হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রিয়াজ উদ্দিন ফকির ছিলেন আলবদর কমান্ডার।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২২ আগস্ট থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে ফুলবাড়িয়া উপজেলার বেবিট্যাক্সি স্ট্যান্ড, রাঙ্গামাটিয়া ঈদগাহসংলগ্ন বানা নদী, দিব্যানন্দ ফাজিল মাদ্রাসা, ফুলবাড়িয়া ঋষিপাড়া, আছিম বাজার ও ভালুকজান গ্রামে এ আসামিরা মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ মামলায় শুনানি করেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

রায়ের পরে আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন সাংবাদিকদের বলেন, রায়ে দুটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং দুটি অভিযোগে রিয়াজ উদ্দিন ফকিরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।