গণমাধ্যমকে নিয়ে সন্ত্রাসবাদ-সাইবার অপরাধের মোকাবিলা করছি

হাসানুল হক ইনু । ফাইল ছবি
হাসানুল হক ইনু । ফাইল ছবি

গণমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ ও সাইবার অপরাধের মোকাবিলা করে চলেছে। একই সঙ্গে চলছে দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ। বৃহস্পতিবার রাজধানী দিল্লিতে এশিয়া মিডিয়া সামিট ২০১৮ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

বাংলাদেশে স্বাধীন গণমাধ্যমের উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ইনু বলেন, জাতির সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলার মধ্য দিয়ে গণমাধ্যম যেমন দৃঢ় ও শক্তিশালী হয়ে উঠছে, তেমনই সুসংহত ও জোরদার হচ্ছে বাংলাদেশের গণতন্ত্র। তিনি আরও বলেন, অনলাইন মিডিয়া দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার সে জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালাও তৈরি করছে। এ ছাড়া ২০০৯ সালে সরকার তথ্য জানার অধিকার আইন প্রণয়ন করে জনগণের হাতে নতুন হাতিয়ার তুলে দিয়েছে। এ আইন জনগণের কাছে জবাবদিহির সুযোগ করে দিয়েছে।

পঞ্চদশ এশিয়া মিডিয়া সামিট ২০১৮ উদ্বোধন করেন ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো অনুযায়ী তথ্যমন্ত্রী সম্মেলনে বলেন, কোনো এক মিডিয়া হাউস যাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ না করতে পারে, সে জন্য ভারসাম্য রাখার প্রয়োজনীয়তা জরুরি। সে জন্য আইন ও রীতিনীতি আনা দরকার।
প্লেনারি অধিবেশনে যোগ দেন ভারতের আইন ও বিচারমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, জনগণকে তথ্য জানানো, সরকারের সমালোচনা, উপদেশ দেওয়া বা সুপারিশ করা এবং প্রয়োজনে বোঝানোর দায়িত্বও মিডিয়ার রয়েছে। তবে কিছু দায়িত্বও আছে, নীতিও। যে তথ্য মিডিয়া প্রচার করবে, তা সত্য ও তথ্যভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন। পেইড নিউজ, ফেক নিউজ বা মিথ্যা খবর অথবা হইচই ফেলে দিতে রং চড়ানো খবর ছাপানোর দিকে গা ভাসানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে কি না, সেই বিতর্ক বড় হয়ে উঠছে।