মহাকাশে যাত্রা যেভাবে

স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর মহাকাশ যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত
স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর মহাকাশ যাত্রা। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো। ফ্যালকন-৯ রকেটের নতুন সংস্করণের প্রথম সফল উৎক্ষেপণ এটি। উৎক্ষেপণের দেড় মিনিটের মাথায় বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটিকে বহনকারী রকেট ফ্যালকন-৯ ম্যাক্স কিউ অতিক্রম করে। নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছে রকেটের স্টেজ-১ খুলে যায়। কাজ শুরু করে স্টেজ-২।

এরপর সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসে স্টেজ-১ এবং নেমে আসে আটলান্টিকে ভাসমান ড্রোন শিপে। ফ্যালকন-৯-এর স্টেজ-২ ২টা ৪৭ মিনিটে পৌঁছে যায় জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটে। মহাশূন্যে ভাসতে থাকে বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট। এরপর বঙ্গবন্ধু-১-এর নিয়ন্ত্রণ নেয় যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশন। মহাকাশের ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নিজস্ব অরবিটাল স্লটে জায়গা করে নিতে ৩৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটকে।

এর আগে বাংলাদেশ সময় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। শুরু হয়ে গিয়েছিল চূড়ান্ত ক্ষণগণনা। প্রথম দুই মিনিট কাউন্টডাউনও হলো। কিন্তু শেষ মিনিটে এসেই থমকে গেল সেকেন্ডের কাঁটা। রকেটের যাত্রা (স্টার্টআপ মোড) শুরু হওয়ার সময়েই তা বন্ধ হয়ে গেল। জানানো হলো, ওই দিন আর উড়ছে না বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। তবে গতকাল শুক্রবার ফের চালু হবে কাউন্টডাউন। বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় তখন।

সাধারণত স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সব সময়ই একটি অতিরিক্ত দিন হাতে রাখা হয়। কারণ, প্রথম দিন কোনো সমস্যা হলে যাতে দ্বিতীয় দিনটি কাজে লাগানো যায়। আগে থেকেই স্পেসএক্স জানিয়ে রেখেছিল, দ্বিতীয় দিনটি (ব্যাকআপ ডে) শুক্রবার।
অারও পড়ুন...
স্বপ্ন হলো সত্যি, মহাকাশে বাংলাদেশ