ধুনটে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে পাঁচ শতাধিক সাপ!

বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের রান্ডিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ভেতরে ছিল পাঁচ শতাধিক বিষধর সাপের বাচ্চা। রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলা হয়েছে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো রোববার সকাল নয়টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী অফিস কক্ষ খুলে আসবাব পরিষ্কার করতে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি সাপের বাচ্চা দেখতে পেয়ে তিনি ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন। তাঁর চিৎকারে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় অভিভাবকেরা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তাঁরা ওই কক্ষের ভেতরে সাপ বা আরও সাপের বাচ্চা আছে কি না, তা অনুসন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে অফিসের কক্ষের আসবাব ও কাগজপত্র সরিয়ে সাপ খুঁজতে থাকেন। এ সময় একে একে বের হয়ে আসতে থাকে সাপের বাচ্চাগুলো। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে জনতার ভিড় জমে যায়। এ সময় তাঁদের সহযোগিতায় কক্ষের পাকা মেঝে খুঁড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক সাপের বাচ্চা বের করে মেরে ফেলা হয়। তবে এ সময় সেখানে বড় কোনো সাপ পাওয়া যায়নি। সাপের বাচ্চা দেখে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী সাপের ভয়ে বিদ্যালয় ছেড়ে বাড়ি ফিরে যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার ও একাধিক অভিভাবক জানান, এই এলাকায় এতগুলো সাপের বাচ্চা একসঙ্গে কোনো দিন দেখা যায়নি।

ধুনট উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) অরুণ কুমার দেবনাথ বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের ভেতরেই বাসা বেঁধে ছিল এসব বিষধর সাপ, যা এত দিন কেউ খেয়াল করেনি। রোববার সকালে একটি সাপের ছোট বাচ্চা দেখতে পেয়ে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর খোঁজাখুঁজি করে পাঁচ শতাধিক বিষধর সাপের বাচ্চা পাওয়া যায়। পরে এগুলো মেরে ফেলা হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সাপের কবল থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।